সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা সফর শেষ করে ফিরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (IMCT)। কিন্তু বাংলায় করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে খুশি হননি তাঁরা। তাই সফর শেষের দিনে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কড়া চিঠি দিলেন তাঁরা। পাশপাশি পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।
বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসার প্রথম দিন থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁদের ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল জোর কদমে। কখনো নরম তো কখনো গরম। উভয় পরিস্থিতিতেই মুখে হাসি থাকলেও পত্রবোমা সংঘাতে আবহাওয়া ছিল বেশ উত্তপ্ত। তবে ১৫ জনের সফর শেষেও রাজ্য সরকারের অসযোগিতার অভিযোগ তুলে মুখ্যসচিবকে কড়া চিঠি দিতে ভুললেন না এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। করোনা নিয়ে রাজ্যে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি রাজ্যে অসহযোগিতারও বিরুদ্ধেও চিঠিতে সোচ্চার হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র চিঠিতে অভিযোগ করেন, “দেশের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলায় মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি। তবে এই রাজ্যে সবচেয়ে কম করোনা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে যে সংখ্যক অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল, কেন্দ্র সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে সেই রোগীর সংখ্যা তার থেকে অনেক বেশি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫৭২। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৯৩১। পাশাপাশি চিঠিতে মৃতের সংখ্যা নিয়েও তথ্য লুকোনো ও অসহযোগিতার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন।”
[আরও পড়ুন:মধ্যপ্রদেশের স্কুলের শৌচালয়ে ‘কোয়ারেন্টাইনে’ আদিবাসী পরিবার! সিন্ধিয়াকে তোপ কংগ্রেসের]
প্রসঙ্গত দুই সপ্তাহ রাজ্যে থেকে IMCT-র প্রতিনিধি দল দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দার্জিলিং, জলপাইগুলি, কালিম্পং পরিদর্শন করেন। তবে এই চার জেলা পরিদর্শন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যে আরও বেশি করে পর্যবেক্ষণ না করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। তবে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো ও ল্যাবের জন্য যে অস্থায়ী ডাটা অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্রা।
[আরও পড়ুন:লকডাউনে বন্ধ উপার্জন, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা চায়ের দোকান মালিকের]
রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এই চাপানউতোরের মাঝেই জানা যায়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এসকর্ট গাড়ির চালক করোনায় আক্রান্ত। যদিও তিনি প্রতিনিধি দলের কারও সংস্পর্শে আসেননি বলেই জানা যাচ্ছে। তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি এই খবরই ঘুম কাড়তে পারে রাজ্য থেকে ফেরত যাওয়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের।
The post ‘বাংলায় করোনায় মৃতের হার সর্বাধিক’, মুখ্যসচিবকে কড়া চিঠি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের appeared first on Sangbad Pratidin.
