গোবিন্দ রায়: জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে ফেরার পরই ফের আইনি লড়াইয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘কালীঘাটের কাকু’র আইনজীবী। তাঁর দাবি, বুধবার যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা, সেই মামলায় পার্টিই নন তাঁর মক্কেল। এছাড়া এখনও পর্যন্ত সিনহার নির্দেশনামা হাতে পাননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্ররা। নির্দেশনামা হাতে না পেলে কীভাবে তা চ্যালেঞ্জ করা হবে, প্রশ্ন আইনজীবীর। তবে এখনই এই মামলা সম্পর্কে কোনও নির্দেশই দেননি বিচারপতি। পরিবর্তে ‘কালীঘাটের কাকু’র আইনজীবীকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গিয়ে নির্দেশনামার কপির জন্য আবেদন জানানোর পরামর্শ বিচারপতি সৌমেন সেনের।
[আরও পড়ুন: মদ বিক্রিতে পুজোর রেকর্ডও ভেঙে দিল বর্ষবরণ, অঙ্কটা জানলে চমকে যাবেন]
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আচমকাই এসএসকেএম হাসপাতালে তৎপরতা শুরু হয়। হাসপাতালে এসে পৌঁছয় জোকা ইএসআই হাসপাতালের ৫জি অ্যাম্বুল্যান্স। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাত প্রায় ৯টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বেরন। প্রায় সাড়ে চার মাস ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রাত ১০টা নাগাদ পৌঁছন জোকা ইএসআই হাসপাতালে। নানা টানাপোড়েনের পর সেখানে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’র। ভোররাতে ফের এসএসকেএম হাসপাতালে ফেরেন। আর তার পরই কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
