নিরুফা খাতুন: পথ দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল নিউ আলিপুরে। মঙ্গলবার সকাল থেকে হেস্টিংস এলাকায় জমায়েত করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, পুলিশের তরফে দুর্ঘটনা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ নিতে প্রায় ৩ ঘণ্টা দেরি করেছে পুলিশ। এছাড়া দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশের সমস্ত সিসিটিভি খারাপ বলে পুলিশ যে তথ্য দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার। কীভাবে এতগুলি সিসিটিভি খারাপ হয়ে গেল? প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের। এনিয়ে মঙ্গলবার সকলা থেকে এলাকায় তীব্র অশান্তি ছড়িয়েছে। বেলায় হেস্টিংস থানা ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিউ আলিপুরের বাসিন্দা বছর বাইশের যুবক নিশান্ত চৌধুরী বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন হেস্টিংস দিয়ে। বাইকের পিছনে ছিলেন এক মহিলাও। রাত প্রায় তিনটে নাগাদ হেস্টিংসে দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় নিশান্ত চৌধুরীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু তার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশের অনুমান, মাঝরাতে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল দুটি ট্রেলার। তার মাঝে বাইকটি ঢুকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এর পরই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের ফোন করে দুর্ঘটনার খবর জানিয়ে বলা হয়, নিশান্তের শারীরিক পরিস্থিতি বিশেষ ভালো নয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন। তখন জানতে পারেন, ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এর পর পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে তা ৩ ঘন্টা দেরিতে গ্রহণ করা হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ বলেছে যে দুর্ঘটনাস্থল হেস্টিংসের রাস্তায় ১৯ টি সিসিটিভি রয়েছে। কিন্তু তার সবকটাই খারাপ। হঠাৎ কীভাবে এতগুলি সিসিটিভি একসঙ্গে খারাপ হল? সেই প্রশ্ন তুলে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেছে মৃত যুবকের পরিবার। এনিয়ে মঙ্গলবার সকালে হেস্টিংস থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মৃত নিশান্তের বাইকে পিছনে থাকা মহিলার পরিচয় নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।