সুব্রত বিশ্বাস: এবার দর্শনার্থী টানায় কলকাতা (Kolkata) শহরকে টেক্কা দিল জেলা শহরগুলি। সপ্তমী থেকে নবমী জেলাগুলিতে যে জনজোয়ার এসেছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে রেলের দেওয়া তথ্যে। পুজোর প্রথম দিন অর্থাৎ সপ্তমীর দিন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৭৯ জন যাত্রী হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে টিকিট কেটেছেন জেলা শহরগুলিতে যাওয়ার জন্য। পরিসংখ্যান বলছে, যার মধ্যে রেলের হিসেবে শ্রীরামপুরে ওই দিন শুধু ৫০ হাজার যাত্রী রেলপথে গিয়েছেন ঠাকুর দেখতে।
অষ্টমীর দিন হাওড়ায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৩০ জন লোকাল ট্রেনের (Local Train) টিকিট কেটেছেন জেলা শহরগুলিতে যাওয়ার জন্য। ওই দিন শ্রীরামপুর ৩২ হাজারের বেশি দর্শনার্থী গিয়েছিলেন ঠাকুর দেখতে। নবমীতে শ্রীরামপুরে ২৩ হাজারের বেশি যাত্রী ট্রেনে ঠাকুর দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন। হাওড়া থেকে শ্রীরামপুর, ডানকুনি, বেলুড়ে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পুজোর ক’দিন গিয়েছিলেন ঠাকুর দেখতে। অষ্টমীর দিন রেকর্ড ভিড় হয়েছিল বেলুড়ে (Belur) বলে জানা গিয়েছে। মূলত কুমারী পুজোর উপলক্ষে বেলুড়ে ওই দিন ভিড় ছিল বেশি।
[আরও পড়ুন: পুজোর কার্নিভ্যালের দিন বন্ধ শহরের কোন কোন রাস্তা, কোথায় হবে নিয়ন্ত্রণ? জানিয়ে দিল পুলিশ]
শিয়ালদহ ডিভিশনে কল্যাণীতে (Kalyani) রেকর্ড ভিড় হয়েছিল বলে রেলের সূত্রে দাবি করা হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশন যাত্রী সংখ্যার প্রকৃত তথ্য জানাতে না পারলেও জানিয়েছে কল্যাণীতে রেকর্ড ভিড় হয়েছিল। আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজোমণ্ডপ দেখতে এত ভিড় ছিল সেখানে। পাশাপাশি কৃষ্ণনগর, বারুইপুর, নৈহাটি, দক্ষিণেশ্বরও পিছিয়ে নেই।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ নদিয়ায়, রাজ্য সড়ক অবরোধে গেরুয়া বাহিনী]
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে বাড়তি ভিড়ের জন্য মহিলা কামরায় (Ladies Compartment) উঠেছেন পুরুষ যাত্রীরাও। তাতে মহিলাদের বেশ সমস্যাই হয়েছে। এছাড়া আর বিশেষ কোনও সমস্যা ছিল না পুজোর দিনগুলিতে। অপরাধীদের দৌরাত্ম্য ছিল না বলে পুলিশের দাবি। ভিড়ের চাপ যেসব স্টেশনে বেশি ছিল, সেখানে আরপিএফ (RPF) ও জেলা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, পুজোর দিনগুলিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য যে বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া হয়েছিল, তা হলো পরিচ্ছন্নতা, পানীয় জল, শৌচালয় পরিষ্কার রাখাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।