সুলয়া সিংহ: মহামারীর সময়েই দুর্গাপুজো (Durga Puja)। হাজারও বিধিনিষেধ মেনে আয়োজন। পুজো দর্শনেও এ বছর জারি হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। তাই বলে কি সারাদিন বা রাতভর ঘুরে কলকাতার সেরা পুজোগুলো দেখা হবে না? নাকি এই সময়েও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, পা ব্যথার পরই দেবীর দর্শন পাওয়া যাবে? না, কোনওটাই নয়। বরং প্রতিবারের মতো এবছরও নির্বিঘ্নে, নিরিবিলিতে শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুর্গাপুজো দেখার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব (Forum For Durgatsab)। করোনা আবহেও ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ পাসের। তবে পাসের বই নয়, দর্শনার্থীরা এবার পাবেন ই-পাস। ঠিক যেমনটি হয়েছে নিউ নর্মালে কলকাতা মেট্রো চালু হওয়ার পর। তবে এখানেও থাকছে বিশেষ নিয়ম। আগে থেকে এই ই-পাস (E-pass) বুক করে পঞ্চমী থেকে নবমীর নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে পুজো আপনি দেখতে পারবেন একেবারে নির্বিঘ্নে। এমনই জানিয়েছেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের যুগ্ম সম্পাদক শাশ্বত বসু।
উত্তরের ১৮, দক্ষিণের ২৩ – কলকাতার সেরার সেরা এই ৪১টি পুজো ভালভাবে দেখতে হলে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের ফেসবুক পেজে ঢুঁ দিন। সেখানে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। নাহলে Bookmyshow থেকেও পাস সংগ্রহ করতে পারেন। নিজের নাম আর মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে জানান যে কখন, কোনদিকের পুজো আপনি দেখতে যেতে চান। সময়টা জানিয়ে দিলেই বুক হয়ে যাবে আপনার জন্য ই-পাস। এবার নির্দিষ্ট সময়ে বেরিয়ে পড়ুন আর মণ্ডপে দিয়ে নিজের মোবাইল থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করেই ঢুকে পডুন। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত এভাবেই চলুক আপনার প্যান্ডেল হপিং।
[আরও পড়ুন: সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পর করোনা কালে দর্শকদের জন্য দরজা বন্ধ করল এই পুজো]
এবছর ভিড় এড়িয়ে পুজোর দেখার জন্য ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের এই বিশেষ ব্যবস্থা বেশ সুবিধাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক শাশ্বত বসু জানাচ্ছেন, ”গোটা দিনকে ১২ ঘণ্টা করে দুটি স্লটে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগ্রহী মানুষজন নিজেদের সময় ঠিক করে কোন দিকে যেতে চান, তা জানালেই আমরা বিশেষ টাইম স্লটে ঘোরার সুযোগ করে দিচ্ছি। একেকটি ই-পাসের জন্য ২০০ টাকা খরচ হবে। প্রতি স্লটে সর্বাধিক ৫০০ জন বুকিং পাবেন। ৫০০ জন হয়ে গেলেই আমরা ওই স্লটের বুকিং বন্ধ করে দেব।” অবিকল মেট্রোর মতোই নিয়ম। করোনা কালে এই ই-পাস নিয়ে নিরাপদে বড় পুজোগুলো নির্বিঘ্নে সকলে দেখতে পাবেন বলেই আশা ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের।
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ, এবছর দর্শকহীন দুর্গাপুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে]
এই ই-পাসের মাধ্যমে যে অর্থ মিলবে, তা তালিকায় থাকা পুজো কমিটিগুলির মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। তাহলে আর দেরি কেন? পঞ্চমী থেকে নবমী, কবে কোনদিকে যাবেন, সেই পরিকল্পনা করে আজই বুক করে ফেলুন আপনার স্লটটি।