অর্ণব দাস, বারাসত: মহিলা সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এবার সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের গ্রেপ্তারির দাবি তুললেন কুণাল ঘোষ। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "তদন্ত হোক। সত্যি হলে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করুক পুলিশ।" ইতিমধ্যেই এবিষয়ে বরানগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে? রবিবার দুপুরে এক তরুণী সাংবাদিক ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানেই তিনি দাবি করেন, এদিন তাঁর তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো তিনি সিপিএম নেতার কাছে পৌঁছে যান। তাঁর অভিযোগ, ইন্টারভিউ নেওয়ার আগেই তন্ময়বাবু নাকি তাঁর কোলে বসে পড়েন। মহিলা স্পষ্টভাবে জানান, তিনি এসব পছন্দ করেন না। ওই সাংবাদিকেদর অভিযোগ, বরাবরই নিজের মাত্রার বাইরে গিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করেন তন্ময় ভট্টাচার্য। পছ্ন্দ না হলেও বিষয়টাকে নিজের মতো করে এড়িয়ে যেতেন তিনি। তবে এদিন বিষয়টা মাত্রা ছাড়ানোয় ফেসবুক লাইভ করেন নিগৃহীতা।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করে দল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আমি শুনেছি এক তরুণী সাংবাদিক শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তন্ময় বরাবরই বাড়ি থেকে সাক্ষাৎকার দেয়, যদিও জানি না কেন এটা করে। তবে যা অভিযোগ পেয়েছি তা খতিয়ে দেখা হবে। এটা কোনওভাবেই ছোট করে দেখা হবে না। আপনারাও কেউ ছোট করে দেখবেন না।” এখানেই শেষ নয়। মহম্মদ সেলিম জানান, তন্ময়বাবুকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কতদিনের জন্য, সেই সংক্রান্ত তথ্য আগামিকাল দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষ। লিখেছেন, "তদন্ত হোক। সত্যি হলে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করুক পুলিশ।" যদিও তন্ময়বাবুর দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। এনিয়ে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সাউথ) অনুপম সিং জানিয়েছেন, বরানগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।