কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: চিকিৎসাধীন ব্যক্তি অসুস্থ তবে দিব্যি বেঁচে বর্তে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁর নামে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগ উঠল লেকটাউনের (Lake Town) এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে রোগীর পরিবার। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে বিভ্রান্তি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়শংকর চোঙদার (৫২) নামের এক ব্যক্তি স্নায়ুঘটিত সমস্যা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভরতি হন চলতি মাসের ৫ তারিখ। তিনি হাওড়ার ডোমজুড় সলপের বাসিন্দা। আইসিইউতে রোগীকে ভরতি করা হয়েছিল। উদয়শংকরবাবুর ছেলে জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল চারটে চল্লিশ মিনিট নাগাদ হাসপাতাল থেকে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। মৃতদেহ নিতে হাসপাতালে আসার জন্য বলা হয়।
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচ ‘গণধর্ষণে’র কিনারা, পুলিশের জালে নির্যাতিতার ‘বন্ধু’ আসগর শাহ]
ফোন পাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে যান। সেখানে মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য ডাকা হয় তাঁদের। কিন্তু মৃতদেহ দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন, অন্য এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখানো হয়েছে তাঁদের। অথচ ডেথ সার্টিফিকেট উদয়বাবুর নামে। এরপরই তাঁরা আইসিইউতে ছুটে গেলে অন্য একটি বেডে উদয়শংকর চোঙদারকে দেখতে পান। দেখেন জীবিত এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন উদয়শংকরবাবু।
এরপর কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। উদায়বাবুর ছেলে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ডেথ সার্টিফিকেট তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ওই শংসাপত্র আসল নয়। একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল মাত্র। নামের বানান ও অন্যান্য বিবরণ ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তবে বিভ্রান্তির কারণে রোগীর পরিজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলেই উদয়শংকর চোঙদারের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।