সুব্রত বিশ্বাস: দূরপাল্লা থেকে লোকাল ট্রেনই (Trains) এখন মদ পাচারের মূল পরিবহণ। এমনই অভিযোগ রেলযাত্রীদের। তা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রেল আধিকারিকরাও। সোমবারই বিদেশি মদ পাচারের সময় শিয়ালদহ (Sealdah) স্টেশনে ধরা পড়েছে দুই মহিলা। বারবার যাত্রীদের তরফে অভিযোগ ওঠায় কখনও কখনও তল্লাশি চালিয়ে পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে আরপিএফ। কিন্তু অপরাধ কমে না বিন্দুমাত্র। বলছেন যাত্রীরাই। সম্প্রতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়ার মতো একাধিক ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এ ধরনের অপরাধের বিষয়টি উঠে এসেছে রেলের হাতে। এতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নেয় লাইনের ধারের মদ (Liquor) বিক্রির কেন্দ্র। ফলে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য লাইন ধার। মদ পাচারের কৌশল বদলায়। কিন্তু বন্ধ হয় না।
বিহারে (Bihar) মদ নিষিদ্ধ। ফলে এ রাজ্য থেকে দেদার মদ পাচার হচ্ছে সেখানে। পাচারের জন্য মূল পরিবহণ হিসেবে রেলপথকেই (Railway) ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথমে পুরুষরা এই পাচারে যুক্ত থাকায় মদ আটক হচ্ছিল বেশি পরিমাণে। কিন্তু কৌশল বদলে এরপর কিশোরদের নিযুক্ত করা হয় এই কাজে। তাও প্রশাসনের নজরে আসায় ফের কৌশল বদল। এবার মহিলাদের মাধ্যমে মদ পাচার করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারপতিদের তো আর ভোটে লড়তে হয় না’, কলেজিয়াম বিতর্কের মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রিজিজুর]
সোমবার বালিয়া এক্সপ্রেসে বিদেশি মদ পাচারের সময় শিয়ালদহে ধরা পড়ে দুই মহিলা যাত্রী। তারা বিহারের বৈশালির বাসিন্দা লালমুনিয়া দেবী ও কুশমা দেবী। তাদের কাছে থেকে আরপিএফ প্রায় ৩৫ হাজার টাকার মদ আটক করেছে। পাচারকারী মহিলারা জেরার মুখে জানিয়েছে, টাকার বিনিময়ে এই মদ তারা ট্রেনে করে হাজিপুর নিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক দু’দিন আগে শ্যাওড়াফুলি ও ব্যান্ডেলে স্টেশনে পাচারকরার সময় আটক করা হয় প্রচুর পরিমানের বিলিতি মদ। মূল্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
[আরও পড়ুন: IS জঙ্গিদের পেন ড্রাইভে দেশের নেতাদের ছবি! ২৬-এর আগে কলকাতায় সতর্কতা]
শিয়ালদহ, হাওড়া দুই ডিভিশনের একাধিক স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চোলাই মদ পাচার হয় বলে যাত্রীরা সম্প্রতি অভিযোগ করে ছিলেন। এরপর পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরম শিব নির্দেশ দেন, এই ধরণের অপরাধ বন্ধের। দিন কয়েক বন্ধের পর ফের তা চালু হয়। শিয়ালদহ দক্ষিণের গোচরণ ও হাওড়ার বর্ধমান কর্ড শাখার মির্জা বাঁকিপুর থেকে ট্রেনগুলিতে মদ পাচার হয়। মূলত ভোর ও রাতে এই পাচারকারীরা সক্রিয়। যাত্রীদের অভিযোগ, চুল্লুর গন্ধে ট্রেনে যাত্রা করাই দায়। এই চোলাই নামে কামারকুণ্ডু, জনাই, গুড়াপ, চন্দনপুর, শক্তিগড়, মশাগ্রাম, জৌগ্রাম সহ বিভিন্ন স্টেশনে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।