মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: হাওড়ায় করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তা নিয়ে উষ্মা এবং একইসঙ্গে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ১৪ দিনের মধ্যে ‘রেড জোন‘এ থাকা হাওড়া যাতে ‘গ্রিন জোন’এ আসতে পারে, সেইমতো কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এরপরই নড়েচড়ে বসে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার পুলিশ। বিভিন্ন রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়। লকডাউন যথাযথ করতে আরও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে তারপরও শনিবার দিনভর লকডাউন ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ জন।
শনিবার দুপুরে বাগনান স্টেশন রোড ধরে যাচ্ছিলেন এক যুবক। কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী তাঁকে আটকান। ওই যুবক জানান যে তিনি বাজার যাচ্ছেন। কিন্তু যুবকের হাতে ব্যাগ না থাকায়, তাঁকে ওই পুলিশ আধিকারিক বাড়ি পাঠিয়ে দেন। গ্রামের দিকে আবার অন্য ছবি। লকডাউন উপেক্ষা করেই মানুষজন রাস্তার উপরই জমায়েত করছেন। বাগনান মানকুর রোডের গদী বটতলা, বাইনান মোড়, কল্যাণপুর আমতলা-সহ বিভিন্ন জায়গায় অযথা লোকেরা ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কেউ কেউ আবার দোকান না খুলেও ফ্লাক্সে করে চা নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। তবে পুলিশের গাড়ি দেখে সকলেই পিছু হঠেছেন।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের সুযোগে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার ও ওষুধ বিক্রি! অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ মেয়রের]
উলুবেড়িয়ায় আবার দোকান খোলার পাশাপাশি কিছু টোটোও চলছে পুলিশের নাকের ডগায়। তবে উলুবেড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুণ্ডুর ভূমিকা রীতিমতো প্রশংসনীয়। তিনি হ্যান্ডমাইক নিয়ে রাস্তায় প্রচার করছেন। এমনকী এলাকায় এলাকায় গিয়েও প্রচার চালাচ্ছেন। লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ ও নিয়ম ভাঙলে শাস্তির কথা ঘোষণা করছেন কৌশিকবাবু। পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, “আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” পাঁচলা, বাগনান, জয়পুর থানার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ লোহার ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কোথাও যেতে গেলে উপযুক্ত প্রমাণ দেখালে তবেই ছাড় মিলছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত ২১ মাসের শিশু, কোয়ারেন্টাইনে গোটা পরিবার]
The post করোনায় ‘রেড জোন’ হাওড়ায় লকডাউন সফল করতে মরিয়া প্রশাসন, তবু নিয়ম ভাঙা চলছেই appeared first on Sangbad Pratidin.
