সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ দিনের লড়াইয়ে অবশেষে বন্দি জিনাত। গোঁসাইডিহিতে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয়েছে বাঘিনী। বনকর্মীরা সফল হতেই সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখলেন, "জিনাতকে উদ্ধার আসলে টিমওয়ার্ক এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতি নিবেদিতপ্রাণের উজ্জ্বল উদাহরণ। সকলকে অভিনন্দন।"
গত ১৫ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রের তাডোবা ও আন্ধেরি ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে সিমলিপালে আনা হয় জিনাতকে। গত ২৮ নভেম্বর ঘরছাড়া হয় সে। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর বনবিভাগ হয়ে চাকুলিয়ার জঙ্গলে আসে। ৭ দিন ধরে তাঁকে বন্দি করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল বাংলার বনদপ্তর। এদিকে বেলপাহাড়ির কাঁকরাঝোড়ে দিনদুয়েক ছিল বাঘিনী। তারপর ময়ূরঝর্ণা হয়ে পুরুলিয়ায় রাইকা পাহাড়ে যায়। খাবার, জল ও পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলে বাসস্থান অনুকূল থাকায় সেখানেই দিব্যি ছিল সে। তবে হাতি তাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করেন বনদপ্তরের কর্মীরা। হুলাপার্টি, মশাল, পটকায় বিরক্ত হয়ে লোকালয়ে চলে যায় জিনাত। মানবাজারের ডাংরডির জঙ্গলে ছিল সে। তবে শুক্রবার রাতে জালের নিচ দিয়ে পালায় জিনাত। তারপর থেকে বর্তমানে মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষা রানিবাঁধ ব্লকের বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের কাছে গোঁসাইডিহিতে চলে যায়। অবশেষে রবিবার বিকেল ৩টে ৫৮ মিনিট নাগাদ বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহিতে চতুর্থ ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয় বাঘিনী।
তার পরই সোশাল মিডিয়ায় বনকর্মী, পুলিশ ও এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনবিভাগের সকল আধিকারিককে আমার আন্তরিক অভিনন্দন বাঘিনী জিনাতকে সফলভাবে উদ্ধার করার জন্য। এই অসাধারণ প্রচেষ্টায় তাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পঞ্চায়েত কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই উদ্ধার আসলে টিমওয়ার্ক এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতি নিবেদিতপ্রাণের - একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। আপনাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা শুধুমাত্র এক প্রাণীকেই রক্ষা করেনি, আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার গুরুত্বকেও শক্তিশালী করেছে। আপনাদের এই অসামান্য কাজের জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ!"