ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এসআইআরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই শুরু হয়েছে শুনানি। দেখা যাচ্ছে, সামান্য আ-কার, ই-কার সমস্যায় তলব করা হচ্ছে ভোটারদের। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিএলএদের সঙ্গে বৈঠকে তা নিয়েই ফুঁসে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বাংলা-ইংরাজির তফাতের কারণে বদলে যাচ্ছে নাম, ম্যাপিং হচ্ছে না।" এসআইআর ও হিয়ারিং পর্বে মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনের উপর চাপালেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে হিয়ারিংয়ের নামে আমজনতার ভোগান্তি নিয়ে কমিশনকে তুলোধোনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ বলেন, ম্যাপিংয়ে বড় ভুল করছে কমিশন। কিন্তু কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, বহু ভোটার জায়গা পরিবর্তন করেছে। সেটা মনে রাখতে হবে। তাঁরা প্রত্যেকে বৈধ ভোটার। তিনি আরও বলেন, "কলকাতার ভোটার লিস্ট করছো ইংরেজিতে। একটা কলোনি এলাকার মানুষ তোমার ইংরাজি বুঝবে কী করে?" তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, "ধরুন বাংলায় কারও নাম একতা। কেউ ইংরাজিতে লেখেন 'এ' দিয়ে, কেউ আবার লেখেন 'ই' দিয়ে। এই সমস্যার কারণে বহু মানুষের নাম মিলছে না হিয়ারিংয়ে ডাক পড়ছে। বানান বিভ্রাটে আত্মহত্যার দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। বলছে ২০০২ সালের লিস্ট অনুযায়ী নাকি নাম মিলছে না। তখন ইনস্টিটিউশন ডেলিভারি কত ছিল? ওরে গর্ধবের দল। নিজের ইচ্ছেমতো বয়স বসিয়েছে। কতজন স্কুলে পড়ত? সার্টিফিকেট কতজনের আছে? আমার বাবা মায়ের জন্ম বাড়িতে। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ পারবেন আসল নথি দিতে? ফেক ডুপ্লিকেট বানিয়েছেন।"
সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গ তুলে মমতার তোপ, “আগে ১০০ টা ওয়ার্ড ছিল কলকাতায়। পরে ডিলিমিটেশন হল। ওয়ার্ড বাড়ল। ফলে ম্যাপিংটাই তো ভুল। এটা বড় ব্লান্ডার।" মমতার দাবি, কমিশনের প্ল্যানিংয়ে গন্ডগোলের খেসারত দিতে হচ্ছে আমজনতাকে। ব্যাঙ্গ করে বললেন, "এরা নাকি হিয়ারিং করবে! এদের ইয়ার রিং দিয়ে দিন। হিয়ারিং এড দিন।" তবে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে মমতা।
