বরখাস্তের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আদালতের, স্বস্তিতে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

01:35 PM Mar 22, 2023 |
Advertisement

গোবিন্দ রায়: হাই কোর্টে স্বস্তি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারের। বরখাস্তের নোটিসে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল আদালত।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ১০ মার্চ। ওইদিন বকেয়া ডিএ’র দাবিতে ধর্মঘটে ডাক দেওয়া হয়েছিল যৌথ মঞ্চের তরফে। আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার সেই ধর্মঘটে অনুপস্থিত কর্মীদের সরকারি নির্দেশনামা উপেক্ষা করে পুরো বেতন দিয়েছেন ও সেদিনকার উপস্থিতির তালিকা অর্থদপ্তরে পাঠাতে অসহযোগিতা করছেন। এই অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্তের নোটিস দেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তী। তার জেরেই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পরবর্তীতে আসানসোল থানায় রেজিস্ট্রার-সহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়।

[আরও পড়ুন: ‘পোলাও আছে, ঘিয়ের জন্য ঘেউ ঘেউ করছে’, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নিশানায় DA আন্দোলনকারীরা]

এদিকে উপাচার্যের বরখাস্তের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রেজিস্ট্রার। তিনি অভিযোগ করেন, নিয়ম না মেনে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। সেই মামলায় স্বস্তি পেলেন রেজিস্ট্রার। বরখাস্তের নির্দেশের উপর ৩ সপ্তাহের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এ বিষয়ে এখনও উপাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertising
Advertising

প্রসঙ্গত, রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার আগে অভিযোগ করেছিলেন, উপাচার্যের অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রেজিস্ট্রারই এক বছরের বেশি টেকেন না। তিনি অনেক অনৈতিক কাজ করেন। অবৈধভাবে গাছ কাটাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় এক উচ্চ অধিকারিককে তার অফিসের মধ্যেই থাকার-শোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ডেভেলপমেন্টে যে সমস্ত কাজ হচ্ছে সেই হিসাবপত্র তিনি ঠিকমতো দেন না। এইসব ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই নাকি তাঁকে বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টির পর অবশেষে দেখা মিলল রোদের, সপ্তাহান্তে ফের ভিজবে বাংলা!]

Advertisement
Next