সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। কিন্তু তার অনেক আগেই কার্যত বাদ্যি বেজে গিয়েছে। মেগা নির্বাচন ঘিরে এখন থেকেই প্রস্তুতি, পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক শিবিরগুলিতেও। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি (BJP)এই কাজে স্বভাবতই আরও কিছুটা এগিয়ে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের টার্গেট বেঁধে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁর সঙ্গে একমত হলেন না প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাতেই আরও একবার বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। বোঝা গেল, দলের অন্দরে একতা নেই একেবারেই।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানিয়েছেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ২৫ টি আসন জিতবে বিজেপি। এর আগে অমিত শাহ বঙ্গ সফরে এসে সংগঠনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কার্যকর্তাদের টার্গেট দিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কড়া বার্তা ছিল, উনিশের চেয়ে বেশি আসনে জিততেই হবে চব্বিশের ভোটে। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। তা অনুসরণ করেই সুকান্ত মজুদার টার্গেট বেঁধেছেন পঁচিশে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তা ২৫-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে মত বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
[আরও পডুন: বঙ্গভবনে ঢুকে সিসিটিভি খুলেছে গুজরাট পুলিশ! শাহর মন্ত্রককে চিঠি দিতে চলেছে নবান্ন]
যদিও সুকান্তবাবুর এই টার্গেটের সঙ্গে একমত নন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, ”এখনই লোকসভা নির্বাচনের কোনও লক্ষ্য ঠিক করেনি দল। ২৫ টি আসনে জেতার কথা বলা হচ্ছে, তা তিরিশও হতে পারে।” সুতরাং, এখানেই স্পষ্ট গেরুয়া শিবিরের মতানৈক্য। বর্তমান রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তনের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই, তাও স্পষ্ট। ২৫ নাকি ৩০ আসনে জয়ের টার্গেট, তা এখনও ঠিকই করে উঠতে পারছে না বঙ্গের গেরুয়া ব্রিগেড।
[আরও পডুন: ‘বাকি আর ৪০০ দিন, ভোটারদের কাছে পৌঁছতে হবে’, লোকসভার দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদি]
সুকান্ত-দিলীপের এই টার্গেট লড়াইয়ের মাঝে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২৫০ আসনে জয়ের কথা শুনিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু মাত্র ৭৭ আসন পেয়েই বিজেপির লড়াই থেমে গিয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতেও বাংলার মাটিতে আঁচড় বসাতে পারেনি তারা। সুতরাং, এই টার্গেটও যে ডাহা ফেল করবে, তা সময়ই বলবে।