অর্ণব দাস, বারাকপুর: তরুণী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বরানগর থানায় ফের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সাসপেন্ডেড সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। বুধবার বেলা তিনটে থেকে প্রায় তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ফের আগামী ৬ নভেম্বর তাঁকে ডেকে তলব করা হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু সাসপেন্ড করার পর থেকে এদিন পর্যন্ত সিপিএমের ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটি ডেকে পাঠায়নি তন্ময়কে।
এনিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। তবে ফোনে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, "দল এখনও ডেকে পায়নি, কিন্তু দ্রুত ডেকে পাঠাবে বলে অশাবাদী। দল ও পুলিশ দ্রুত তদন্ত শেষ করুক এটাই চাইব।" প্রসঙ্গত, আগেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই পার্টির সাসপেনশন প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাই পুলিশের সঙ্গে দলও দ্রুত তদন্ত শেষ করুক, এই মন্তব্য করে তন্ময় ভট্টাচার্য কার্যত দলের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ফের ঘুরিয়ে প্রশ্ন করেছেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
গত ২৭ অক্টোবর, রবিবার দুপুরে এক তরুণী সাংবাদিক ফেসবুক লাইভ করেন। তিনি দাবি করেন, এদিন তাঁর তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো তিনি সিপিএম নেতার কাছে পৌঁছে যান। তাঁর অভিযোগ, ইন্টারভিউ নেওয়ার আগেই তন্ময়বাবু নাকি তাঁর কোলে বসে পড়েন। মহিলা স্পষ্টভাবে জানান, তিনি এসব পছন্দ করেন না। ওই সাংবাদিকের অভিযোগ, বরাবরই নিজের মাত্রার বাইরে গিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করেন তন্ময় ভট্টাচার্য। পছন্দ না হলেও বিষয়টাকে নিজের মতো করে এড়িয়ে যেতেন তিনি। তবে মাত্রা ছাড়ানোয় ফেসবুক লাইভ করেন নিগৃহীতা।
তরুণী সাংবাদিক অভিযোগ করার পর থেকে তিনদিনের মধ্যে বরানগর থানার তরফে দুবার তলব করা হল তন্ময় ভট্টাচার্যকে। অভিযোগকারীকেও ইতিমধ্যে থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কিন্তু ফের সাত দিনের মধ্যে আবার কেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে ডাকা হল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও পুলিশি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন, আগামী দিনেও করবেন বলেই এদিন দাবি করেন তন্ময়বাবু। তিনি জানান, "তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছি। পুলিশের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আগামী দিনেও তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব।"