shono
Advertisement

ফের রণক্ষেত্র মানিকতলা, মহিলা তৃণমূল কর্মীদের ‘শ্লীলতাহানি’, কাঠগড়ায় বিজেপি সমর্থক

থানার সামনেই বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ।
Posted: 09:35 AM Apr 25, 2021Updated: 09:35 AM Apr 25, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তম দফা ভোটের (WB Assembly Polls 2021) আগে ফের উত্তপ্ত খাস কলকাতা। শিরোনামে ফের উত্তর কলকাতার মানিকতলা অঞ্চল। শনিবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা। রাতে দুই মহিলা তৃণমূল কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার মানিকতলা বিধানসভার মুরারিপুকুর এলাকা। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁদের শ্লীলতাহানি করে। এর পরই বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকরা। যদিও শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। অভিযোগ, মুরারিপুকুর বাজারে ফল কিনতে গেলে তৃণমূলের দুই মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করেন ফল ব্যবসায়ী ও তাঁর আত্মীয়। অভিযুক্তরা বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির। বিজেপির পালটা দাবি, ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। শ্লীলতাহানির ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা থানায় নালিশ জানাতে গেলে সেখানে ফের গন্ডগোল বাঁধে। তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি সমর্থকদের মারধর করে বলে অভিযোগ। থানার সামনে তাঁদের মারধর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে থানার ভিতরে বিজেপি কর্মীরা আশ্রয় নেয় বলে খবর। তবু শেষরক্ষা হয়নি। উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকরা এরপর পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় রাতেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

[আরও পড়ুন : মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরলেই কড়া শাস্তির নির্দেশ, করোনা রুখতে আরও কঠোর রাজ্য]

শনিবার বিকেল থেকে উত্তপ্ত ছিল মানিকতলা এলাকা। মানিকতলার ১৪নম্বর ওয়ার্ডে মুরারীপুকুরে বিজেপির নির্বাচনী সভা ছিল। বিজেপির সেই সভার পাশেই তৃণমূলের একটি সভা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, একটি সাদা কাপড় লাগানো ছিল। তার একদিকে তৃণমূল ও অন্যদিকে বিজেপির সভা হচ্ছিল। মাত্র ৫০ ফুটের ব্যবধানে কী করে দু’টি সভার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যান চৌবের অভিযোগ, “কোভিড বিধি মেনে ২০০টি চেয়ার রেখে আমাদের সভা হচ্ছিল। পৌঁছে দেখি সেখানে আমাদের ঝান্ডা সরিয়ে তৃণমূল তাদের ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের সভাস্থলে ওদের মাইকও লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে বলি তৃণমূলের মাইকটা বন্ধ রাখার জন্য। “

[আরও পড়ুন : কোভিড চিকিৎসায় ৬০% বেড বাধ্যতামূলক, বেসরকারি হাসপাতালের জন্য জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা]

এদিকে যখন দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন তখন পাশে তৃণমূলের সভায় কুনাল ঘোষ, সুজাতা মন্ডল খাঁ-সহ অন্য নেতৃত্ব ছিলেন। কুনাল ঘোষের বক্তব্য, “আমাদের চার হাজার লোক ছিল। আর ওদের লোক ছিল ৩৫জ ন। আমাদের ছেলেরা সংযত ছিল। কোনও গণ্ডগোল করেনি।” জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীরা তাদের সভাস্থল থেকে তৃণমূলের লাগানো মাইক খুলে নিতে হবে পুলিশের কাছে এই দাবি করে। বিজেপি কিছু কর্মী তৃণমূলের সভাস্থলের দিকে যেতে গেলে পুলিশ আটকায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement