সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঝে খুঁড়তেই অস্ত্রভাণ্ডার! আর তার জেরে লোকসভা ভোটের মুখে ফের শিরোনামে সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহান 'ঘনিষ্ঠে'র আত্মীয়ের বাড়ি এবং বাড়ি লাগোয়া ভেড়ি ঘিরে রেখেছে NSG। তল্লাশি অভিযানের নেপথ্যে অবশ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল। ভোটের মুখে 'সাজানো নাটক' বলেই কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্দেশখালির আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় হানা দেয় সিবিআই। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাফিজুল খাঁ আবার শেখ শাহজাহান ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই খবর। কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে। সঙ্গে যান বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরাও। রহস্যময় বাড়ির মেঝে খুঁড়ে ফেলা হয়। সূত্রের খবর, একটি বাক্সের ভিতর প্যাকেটবন্দি অবস্থায় বেশ কিছু পরিমাণ বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। বোমাও উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেলের দিকে ওই এলাকায় গিয়ে পৌঁছয় NSG। স্নিফার ডগও নিয়ে যাওয়া হয়েছে এলাকায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের তল্লাশিতে একটি রহস্যময় ব্যাগ বাড়ি থেকে বের করে এনএসজির রোবট।
[আরও পড়ুন: ১২ বছর বয়সে যৌন নিগ্রহের শিকার চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, সোশাল মিডিয়ায় নীরবতা ভাঙলেন অভিনেত্রী]
তবে এই গোটা ঘটনাটি সাজানো বলেই মনে করছে শাসক শিবির। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই গোটা ঘটনাটিকে অতিনাটকীয় বলেই মনে করছেন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই অনুমান শাসক শিবিরের নেতার। সেকথা X হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির 'ত্রাস' শেখ শাহজাহানের খোঁজে আকুঞ্জবেড়িয়ায় হানা দেয় ইডি। সেই সময় অবশ্য ইডি আধিকারিকরা শেখ শাহজাহানকে পাননি। পরিবর্তে মারধরই জুটেছিল আধিকারিকদের কপালে। রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে থাকা শাহজাহানের বিরুদ্ধে রয়েছে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ। জমি, ভেড়ি দখলের অভিযোগ তো রয়েছে। এমনকী নারী নির্যাতনের অভিযোগেও বিদ্ধ শাহজাহান। আর তার জেরে দফায় দফায় বিক্ষোভের আগুনে জ্বলেছে সন্দেশখালিতে। রাজ্য পুলিশের হাতে ফেরার শাহজাহান গ্রেপ্তার হন। তবে তারপরেও বারবার সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে শাসক শিবিরকে বিঁধেছে বিরোধীরা। ভোটের মুখে সন্দেশখালি আপাতত শান্ত। তবে তা সত্ত্বেও গেরুয়া শিবির অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশের অছিলায় সন্দেশখালি ইস্যুকে স্রেফ জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছে তৃণমূল। যদিও সে দাবি অস্বীকার করেছে বিজেপি। এখনও সন্দেশখালি সন্ত্রাসমুক্ত নয় বলেই দাবি শমীক ভট্টাচার্যের।