সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। লাহোরের বিশেষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, নিজেদের হেফাজতে নিয়ে শাহবাজকে জেরা করতে চেয়েছিল পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এফআইএ)। পাক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সুলেমান শাহবাজ ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজকেও হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করার অনুমতি চেয়েছিল তারা।
লাহোরের বিশেষ আদালতের (Lahore Special Court) তরফে বলা হয়, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্যই শাহবাজকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিল এফআইএ। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) হেফাজতে ছিলেন শাহবাজ ও হামজা। সেখানে তাঁদের জেরা করা হয়েছিল। জানুয়ারি মাসের প্রথমিকেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আদালত জানিয়েছে, “গত পাঁচ মাসে একবারও জেরা করা হয়নি তাঁদের। অথচ এনএবির হেফাজত থেকে বেরোনর পরে আবার জেরা করতে চাইছে এফআইএ। এই ঘটনার অর্থ তাঁদের গ্রেপ্তার করতে চাইছে ওই সংস্থা। তাতেই বোঝা যায়, অসৎ উদ্দেশ্য আছে এফআইএর।”
[আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেসের পার্টিতে বন্দুকবাজের হানা, মৃত কমপক্ষে তিন]
এই রায় দেওয়ার পাশাপাশি শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)ও তাঁর পুত্র হামজার আগাম জামিনের মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছে আদালত। চিনিকল মামলায় আর্থিক প্রতারণার দায়ে ১১ জুন পর্যন্ত জামিন পেয়েছিলেন তাঁরা। সেই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হল। কারণ আদালতের মতে, এনএবির হাত থেকে ছাড়া পেলে তাঁদের ফের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করবে তদন্তকারী সংস্থা। তবে সোমবার আদালতের রায়ে আপাতত স্বস্তি শাহবাজের।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত চালায় পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’। তদন্তকারীদের রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শরিফ পরিবারের ২৮টি বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। সেগুলির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে শরিফের ছেলে শাহবাজ ও সুলেমানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন ও আর্থিক নয়ছয় বিরোধী আইনে মামলা করে এফআইএ।