অর্ণব আইচ: পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড় বাংলা। গ্রেপ্তার হয়েছেন একাধিক সন্দেহভাজন। এবার পুলিশের নজরে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং এবং গ্রান্টিং অফিসারের একাংশ। সেই কারণেই এলাকার পাসপোর্ট অফিসে চিঠি পাঠিয়েছে লালবাজার।
বাংলাদেশ অশান্ত হতেই বেড়েছে অনুপ্রবেশের আতঙ্ক। ফলে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের রমরমা। একজনকে গ্রেপ্তার করতেই হদিশ মিলেছে একাধিক অভিযুক্তের। রহস্যভেদে মরিয়া পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, এই জালিয়াতির নেপথ্যে থাকতে পারেন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং এবং গ্রান্টিং অফিসারদের একাংশ। সেই কারণেই, চিঠি দিয়ে রাজ্যের পাঁচ পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের ভেরিফাইং অফিসার ও গ্রান্টিং অফিসারদের নামের তালিকা চেয়েছে লালবাজার। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে, অনলাইনে আবেদনের সময় ১৫০০ টাকা দিতে হয় আবেদনকারীদের, যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা এসেছে তার নম্বর-সহ বিস্তারিত তথ্যও চাওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।
উল্লেখ্য, রুবির মতো যে পাঁচটি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র রয়েছে। যে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে আবেদনকারীর নথি জমা পড়ার পর সেখানে তা ফেরিফাই করেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। রি-ভেরিফিকেশনের পর পোর্টালে আপলোড করা হয় নথি। পরে তা রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে চেক করার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনে পাঠানো হয়।