সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারী বর্ষণের জেরে ফের কক্সবাজারের পাহাড়ি অঞ্চলে ধস। গত কয়েকদিন ধরেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড় ধসে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এই ঘটনায় আহতও হয়েছেন কয়েকজন।
জানা গিয়েছে, মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন জেলা কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকতপাড়ায় পাহাড় ধসে এই বিপত্তি ঘটে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে দক্ষিণ মোহরীপাড়ায় পাহাড় ধসে মারা যান লায়লা বেগম (৩৪) এক গৃহবধূ। দুর্ঘটনার সময় আহত হন তাঁর ছেলে মহম্মদ হানিফ। মৃতার স্বামী ফিরদৌস আহম্মদ বলেন, রাত আটটার দিকে ভারী বর্ষণ চলছিল। সেসময় তাঁরা রান্নাঘরে রাতের খাবার খেতে বসেছিলেন সকলে। হঠাৎ পাশের পাহাড়ের খণ্ড ধসে পড়ে ঘরের চালার ওপরে। মাটিচাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁর স্ত্রী। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কক্সবাজার শহরের এবিসি ঘোনা এলাকায় মহম্মদ করিমের স্ত্রী জমিলা আক্তারও (৩০) পাহাড় ধসে মারা যান।
[আরও পড়ুন: ভারতের প্রভাব খর্ব করতেই ‘টোপ’! হাসিনার সফরে বাংলাদেশকে ১৬০০ কোটি বিনিয়োগ চিনের]
এদিন রাতেই কক্সবাজার শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পাহাড় ধসে এক পরিবারের ছয়জন মাটিচাপা পড়েন। স্থানীয় লোকজন ও দমকল কর্মীরা মাটি সরিয়ে পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও মিম নামের আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২১ জুন শহরের বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে এক দম্পতি প্রাণ হারায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এর পরও বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা ও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস।
এনিয়ে কক্সবাজার দমকল বিভাগের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন আচার্য বলেন, "পাহাড় ধসের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পাহাড়ের নিচে বিপজ্জনকভাবে থাকা একটি ছোট খুপরিতে মাটিচাপা পড়েন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।" বলে রাখা ভালো, বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বহু রোহিঙ্গাও।