সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: পুজোর মুখে লাগাতার বর্ষণের জেরে ফের ধস পাহাড়ে। বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিছিন্ন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তবে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি বলেই খবর। দুর্যোগে দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণের।
পাশাপাশি, নকশালবাড়ি, মাটিগাড়ার নিচু এলাকাগুলিতে জল জমেছে। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন তিস্তা নদীর মেখলিগঞ্জ এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। একই সঙ্গে জলপাইগুড়ির দোমোহনি এলাকায় তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ২৬৮৬.৫৮ কিউসেক জল ছাড়ায় তিস্তার জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। তিস্তার পাশাপাশি করলা নদীর জলস্তরও বাড়ছে।
শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে দার্জিলিঙের মিরিক, ঘুম, সুখিয়া পোখরি রোডে। রিম্বিক-লোধোমা থেকে ধোত্রে এবং বিজনবাড়ি থেকে দার্জিলি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। দার্জিলিংয়ের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়তেও ধস নেমেছে। শ্বেতিঝোরা এলাকায় ধস নামায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের যান চলাচলা বন্ধ। গত পরশু খোলা হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট নবার বন্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহারেও। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির কথা শুনিয়েছে দপ্তর। সেই মতো দফায় দফায় বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য পার্বত্য এলাকার রাস্তায় দৃশ্যমানতা কমতে পারে। বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের।