সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা। ছোট্ট শব্দের মধ্যেই শিশুর পূর্ণতা। স্থান, কাল আর মানুষের নিরিখে মাতৃত্বের সংজ্ঞাও ভিন্ন। কিন্তু ভিন্নতা যতোই থাক আত্মিক টান তো এক। সবার উপরে ভালোবাসাই সত্য। এই সত্য আর বিজ্ঞানের জোরেই নজির গড়লেন দুই সমকামী যুগল। দুজনের দুই গর্ভে পালিত হল এক পুত্রসন্তান।
ইউরোপে ঘটেছে এই বিরল ঘটনা। ৩০ বছরের এস্তেফানিয়ার গর্ভে অঙ্কুরিত হয়েছে ভ্রুণ। আর সেই ভ্রুণ আবার ২৭ বছরের আজাহারার গর্ভে স্থাপিত করা হয়েছে। ৯ মাস পর সেই সন্তান পৃথিবীর আলো দেখেছে। নাম দেওয়া হয়েছে ডেরে এলোয়। দুই মা ও সন্তান বহাল তবিয়তেই রয়েছে।
[আরও পড়ুন: সুখের মোবাইল কখন হয় অসুখের কারণ? জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক]
বাস্তবের এই ঘটনা মহাভারতের কথা মনে করিয়ে দিতেই পারে। যেখানে কংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বসুদেব ও দেবকীর সপ্তম সন্তান বলরামকে জন্মের আগেই যোগমায়া বসুদেবের আরেক পত্নী রোহিণীর গর্ভে স্থাপিত করেন। এস্তেফানিয়া-আজাহারার ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের জোরে। ‘ইনভোসেল’ (INVOcell) নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন ইউরোপের সমকামী যুগল। কী এই পদ্ধতি?
একটি বুড়ো আঙুলের সাইজের ক্যাপসুলে সাইজে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ভরে তা যোনির ভিতরে দিন পাঁচেকের জন্য রেখে দেওয়া হয়। তাতে যদি ভ্রুণ অঙ্কুরিত হয়। সেই ভ্রুণ অন্যের গর্ভে স্থাপিত করে দেওয়া হয়। ইউরোপে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এস্তেফানিয়া-আজাহারার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা লেগেছে। তবে সন্তানকে পেয়ে দুজনই খুশি। জানাচ্ছেন, অনেকটাই স্বাভাবিক মনে হয়েছে এই প্রক্রিয়া। আর এর মাধ্যমে তাঁদের দুজনের গর্ভেই সন্তান পালিত হল।
উল্লেখ্য, ইউরোপে এই প্রথমবার ‘ইনভোসেল’ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনও শিশুর জন্ম হল। সারা বিশ্বে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল। এর আগে ব্রিটিশ সমকামী যুগল ডন্না ও জাসমিনও এভাবেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাঁরা ছেলে নাম রেখেছেন ওটিস।
[আরও পড়ুন: চুমু খেলে ঠোঁট ফাটবে কম! শীত আসার আগেই জেনে নিন আদরের নয়া ট্রিক]