সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিমের নানা উপকারিতা। একথা বহুবার শুনেছেন, বহু জায়গায় পড়েছেন। ডিমের নানা পদের স্বাদও চেটেপুটে খেয়েছেন। কিন্তু ডিমের কুসুম নিঃসৃত তেল বা এগ অয়েলের (Egg oil) কথা শুনেছেন কখনও? অনেকেই হয়তো শোনেননি। গ্রিক পূরাণে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিমের কুসুমের নির্যাস নিয়ে তা থেকে এই তেল তৈরি করা হয়। ৫ আউন্স অর্থাৎ প্রায় ১৫০ গ্রাম মতো তেল তৈরি করতে লাগে প্রায় ৫০টি ডিমের কুসুম। ডিমের মতোই এর নানাবিধ উপকারিতা।
১) ডিমের কুসুম থেকে তৈরি হওয়ায় এই তেলে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। যা একাধিক চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। রুক্ষতা দূর করে ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনে।
২) ডিমের কুসুমের তেলে থাকে অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপকরণ। এতে ত্বকের অযাচিত দাগ দূর হয়। ব্রণর সমস্যারও সমাধান করে এই তেল।
৩) চুলের ক্ষেত্রেও এই তেল খুব উপকারী। প্রথমে চুলের গোড়ায় এই তেল দিয়ে ভাল করে মালিশ করতে হবে। তারপর গরম জলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এতে খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পাশাপাশে চুল পড়াও বন্ধ হবে। নতুন চুল গজাতেও এই তেল সাহায্য করে।
[আরও পড়ুন: ছোট্ট ফ্ল্যাট সাজাতে হিমশিম খাচ্ছেন? জায়গা বাঁচাতে এভাবে সাজিয়ে দেখুন তো!]
৪) ডিমের কুসুমের তেল মালিশ করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এতে ত্বকের জেল্লা ফেরে।
৫) যৌবন ধরে রাখতেও সাহায্য করে ডিমের কুসম থেকে তৈরি এই তেল। ডিমের নির্যাস থেকে তৈরি হওয়ায় এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘B3’, ‘A’ এবং ‘E’ রয়েছে। ফলে এর নিয়মিত মালিশ ত্বকে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়।
এছাড়াও এই তেলের সবচেয়ে বড় গুণ হল, মুরগীর ডিম খেলে যাঁদের অ্যালার্জি হয় অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ এতে আর অ্যালার্জির উপকরণ থাকে না।