সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেরেকেটে আর হয়ত ২২ থেকে ২৫ দিন বাকি। তারপরই পুজোর বাদ্যি বেজে যাবে। আর দুর্গাপুজো (Durga Puja) শুরু হওয়া মানেই কিন্তু ফ্যাশনের ছড়াছড়ি। কে কেমন সাজল, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আপনার বন্ধুবান্ধবরা তো বটেই, এমনকী আপনার ফ্যাশনের (Fashion) দিকে নজর থাকে ডিজাইনারদেরও। কে বলতে পারে, হয়ত হেলাফেলায় সেজে ফেলা আপনার স্টাইলই আপনাকে ভিড়ের মাঝে অনন্য করে তুলবে। আবার এমনও হতে পারে, বাজারে কোনও কিছুই আপনার পছন্দ নয়। তাই নিজের মতোই সাজগোজ করছেন সম্পূর্ণ নিজের তৈরি ফ্যাশন সামগ্রী দিয়ে। জুতোর (Shoe) ফ্যাশন নিয়ে কি ভেবেছেন? বাজারের কোনও জুতোই পছন্দ হচ্ছে না? বেশি না ভেবে নিজের হাতেই নকশা করে ফেলুন জুতোয়। দেখবেন, এবারের পুজোয় আপনার পাদুকাই সকলের নজর কাড়বে।
এমন তাক লাগানো জুতো বানানো কিন্তু কঠিন ব্যাপার নয় একেবারেই। পুজোর দিন তিন-চারেক আগেও এই জুতো বানিয়ে নিতে পারেন আপনি। প্রথমে একটি সাদা জুতো কিনে ফেলুন। তারপর তার উপর রঙিন পেন অথবা পেনসিল দিয়ে আপনার মনের মতো নকশা (Design) আঁকুন। শুধুমাত্র আউটলাইনই করবেন। মার্কার পেন ব্যবহার করলে নিখুঁত হবে ডিজাইন।
নকশা পছন্দ না হলে মুছে ফেলারও সুযোগ পাবেন। সাদা চুন ব্যবহার করে জুতোকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনুন। আবার নকশা করুন। এরপর ভেবে নিন সাদার উপর কী কী রং আপনি ফুটিয়ে তুলতে চাইছেন। বেসিক কালার অর্থাৎ – লাল, নীল, হলুদ, সবুজেই দারুণ খুলবে নকশা। সেইমতো একটি প্যালেটে তেল রং নিন। সঙ্গে সরু, মোটা নানা সাইজের একাধিক তুলি রাখতেই হবে।
[আরও পড়ুন: ‘তুমি তোমার জায়গাটা নিয়ে থাকো’, নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠান থেকে মহুয়াকে ‘ধমক’ মমতার]
রং পর্বের প্রথমে সরু তুলিটি দিয়ে নকশার যে আউটলাইন করেছিলেন, সেটাই একবার রং দিয়ে এঁকে নিন। তারপর ভরাট করার পালা। এবার মোটা তুলির ব্যবহার। তুলিটি আপনার পছন্দমতো তেলরঙে ডুবিয়ে ভরে ফেলুন নকাশর সাদা অংশ। অবশ্যই একাধিক রং ব্যবহার করবেন, অন্তত তিনটি রং। তাহলেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে আপনার নকশা। হাত ভাল থাকলে ভরাট রং না করে শেডও দিতে পারেন। তবে তা সময়সাপেক্ষ। অবশ্য ফ্যাশনের টপ লিস্টে থাকতে চাইলে এটুকু বাড়তি সময় তো দিতেই হবে।
আপনার তৈরি জুতোটি কোন ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই এবং প্রদর্শনযোগ্য, তা ঠিক করতে হবে আপনাকেই। তাই পুজোর দিনগুলিতে সেসব পোশাকের সঙ্গে গলিয়ে ফেলুন পাদুকাযুগল। ব্যস! আপনিই উৎসবের মধ্যমণি।