ভোজনরসিক বাঙালির পুজো মানেই পেটপুজো। আর সেই রসনা তৃপ্ত হলে, উদর ‘বাবাজি’র থেকে বেশি খুশি বোধহয় আর কেউ হন না! উৎসবের প্রহর দুয়ারে কড়া নাড়লেই আনন্দের স্বাদ আরও বেশি করে চেটেপুটে নিতে চায় মন। সারা বছর অফিস-বাড়ি সামলে বিশেষ কিছু রান্না করার সুযোগ হয় না। পুজোর দিনগুলোয় পরিবারের জন্য রান্না নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করবেন ভাবছেন? ষষ্ঠী থেকে দশমী জমজমাট মেনুকার্ড-এর জন্য চোখ রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এ।
‘উৎসবের উদরপূর্তি’তে আজকের পদ মাটন রোগান জোশ।
উপকরণ
মাটন ১ কেজি, সরষের তেল ১৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটার, তেজপাতা ১টা, ছোট এলাচ ৪-৫টা, বড় এলাচ ২টো, লবঙ্গ ৭-৮টা, গোটা দারচিনি টুকরো ২টো মতো, আদা-রসুন বাটা ২ চা-চামচ, রতনজোত ৪-৫টো, দই ১০০ গ্রাম, ঘি ২০০ গ্রাম, ধনে গুঁড়ো ২ চা-চামচ, জিরে গুঁড়ো ২ চা-চামচ, আদা গুঁড়ো ২ চা-চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ৩ চা-চামচ, হিং গুঁড়ো ২ চা-চামচ, গরম মশলা।
প্রণালী
ম্যারিনেট করতে মাংসের সঙ্গে ১০০ গ্রাম টক দই, ১ চা-চামচ গরম মশলা ও আধ চা-চামচ নুন মিশিয়ে ৫ ঘণ্টা রেখে দিন। আলাদা পাত্রে বাকি ১০০ গ্রাম দইয়ের সঙ্গে প্রতিটা গুঁড়ো তথা ধনে-জিরে-আদা-লঙ্কা মিশিয়ে নিন। সঙ্গে মেশান হিং-ও। প্রেশার কুকারে সরষের তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ফেলে নাড়তে থাকুন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে ম্যারিনেট করা মাংস ঢেলে দিন। কষিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না দই থেকে জল বেরিয়ে এসে শুকনো শুকনো হয়ে আসছে। হয়ে এলে পরে দইয়ের মিশ্রণটুকু ঢেলে নাড়তে থাকুন। দুটো বিষয় ভাল করে মিশে গেলে প্রেশার কুকার আটকে বেশি আঁচে চার থেকে পাঁচটা মতো সিটি দিতে হবে। এরপর গ্যাস কম আঁচ করে আরও একটি সিটি পড়বে। মাংস নরম হয়ে এলে এক পাত্রে ঘি গরম করে তাতে রতনজোত ফেলে রং বদলানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঘি মোটামুটি মরচে লাল রঙা হয়ে এলে ইতিমধ্যেই তৈরি হওয়া মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। পরিবেশন করুন গরম গরম। কাশ্মীরি পদটি প্রধানত রুটি বা নান দিয়ে খাওয়া হলেও সরু চালের গরম ভাতের সঙ্গে দারুণ জমে।