সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়াগামী ইস্পাত এক্সপ্রেসে (Ispat Express) বিস্ফোরণের শব্দ থেকে ছড়াল আগুন আতঙ্ক। মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রেলের আধিকারিকরা। তবে বিপদের তেমন কিছু না হওয়ায় ফের ট্রেনটিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা সুরক্ষিতই রয়েছেন। তবে বিস্ফোরণের (Blast) প্রকাণ্ড শব্দে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ঘটনা বৃহস্পতিবার বিকেলের। টিটলাগড় থেকে হাওড়াগামী (Howrah)ইস্পাত এক্সপ্রেসের ডি-৭ কামরায় এক যাত্রী নিজের মোবাইলটি চার্জে বসিয়েছিলেন। একটি পাওয়ার ব্যাংকে চার্জ হচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই পাওয়ার ব্যাংকটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ ছড়িয়ে পড়ে গোটা কামরায়। সংলগ্ন কামরাগুলির যাত্রীদের কানেও পৌঁছয় সেই শব্দ। ট্রেন তখন ঝাড়গ্রাম (Jhargram) ও সরডিহার মাঝে। এই শব্দে যাত্রীমহলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আগুন ছড়িয়েছে, এই অনুমানে ভয়ে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন যাত্রীরা। খবর পৌঁছয় রেলের আধিকারিকদের কাছে।
[আরও পড়ুন: ১৫% সুদে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরতের টোপ! গোপাল-হৈমন্তীর চিটফান্ড সংস্থার তথ্য যাচাই CBI-এর]
খবর পাওয়া মাত্র জরুরিকালীন পরিস্থিতি বুঝে ট্রেনটিকে বাঁশতলা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। আধিকারিকরা ডি-৭ কামরায় উঠে তল্লাশি চালান। জানতে পারেন, সামান্য আগুনের ফুলকি বেরিয়েছিল, তবে বড় কিছু ঘটেনি কিংবা আগুনও ধরেনি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। অনেকেই আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে যান। তবে রেলের আধিকারিকরা তাঁদের আশ্বস্ত করে ফের ট্রেনে তুলে দেন। ফের গন্তব্যের দিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। রাতে ইস্পাত এক্সপ্রেসের হাওড়ায় পৌঁছনোর কথা।
[আরও পড়ুন: কেতুগ্রামে মিলল যৌনক্ষমতাবর্ধক নকল ওষুধ তৈরির কারখানার হদিশ, গ্রেপ্তার ১]
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (CPRO) জানিয়েছেন, হাওড়াগামী ইস্পাত এক্সপ্রেসে মোবাইল চার্জ দেওয়ার সময় পাওয়ার ব্যাংকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে বড় দুর্ঘটনা কিছু হয়নি। আতঙ্কিত যাত্রীদের আশ্বস্ত করে ফের ট্রেনটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।