সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবন মানেই হাজারও জটিলতা। অফিস-বাড়ি-বন্ধুবান্ধব, সবদিক ব্যালান্স করা অধিকাংশের কাছেই বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে সর্বক্ষণ ফোনে নজর। এসবের প্রভাবে বিঘ্নিত হয় মানসিক শান্তিও। ফলে অনেকের ঠিক মতো ঘুম হয় না। যার জেরে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু জানেন কি চারপেয়ের অভিভাবকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেকটাই কম।
বিষয়টা ঠিক কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চারপেয়ে সন্তান থাকার একাধিক উপকার পান অভিভাবকরা। প্রথম সুফল হল, এরা আর পাঁচজনের থেকে সামান্য হলেও কম সময় কাটান ফোন, ল্যাপটপে অর্থাৎ সোশাল মিডিয়ায়। কারণ, কাজ সেরে বাড়ি ফিরে তাঁদের প্রথম লক্ষ্যই থাকে পোষ্যদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো। চারপেয়েদের সঙ্গে যে কীভাবে চোখের নিমেষে দীর্ঘ সময় কেটে যায়, তা বুঝতেও পারেন না। আর এই ফোনের থেকে দূরে থাকাটা যে কারও জন্য অত্যন্ত জরুরি।
গবেষণা বলছে, চারপেয়ে সঙ্গী থাকলে নাকি ঘুমও হয় দারুণ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাজার দুশ্চিন্তা
নিমেষে গায়েব করে দিতে পারে পোষ্যরা। ফলে মন থাকে ফুরফুরে। ওদের সঙ্গে সময় কাটালে ঘুম হয় দারুণ। ফলে শরীরও থাকে চাঙ্গা।
এখানেই শেষ নয়, পোষ্যরা সামাজিক সংযোগ বাড়াতে পারে। ভাবছেন তো কীভাবে? বর্তমানে প্রায় সকলেই গগণচুম্বী আবাসনে বন্দি। কিন্তু যে ফ্ল্যাটে পোষ্য রয়েছে, তাঁদের সকলেই চেনে। কারণ, সেই চারপেয়ে। তার টানেই প্রতিবেশীরা প্রায়ই ঢু দেন। খুদের খোঁজখবর নেয়। ফলে একে অপরের সঙ্গে দৃঢ় হয় বন্ধন। শুধু কী এটুকুই? দিনভর কাজের পর হাঁটতে বেরনোর দরকার জানলেও অনেকেই অলসতার কারণে তা এড়িয়ে যান। কিন্তু চারপেয়ের অভিভাবকদের সে বালাই নেই। তাঁদের যে যেতেই হবে হাঁটতে। কারণ সেই পোষ্য। অর্থাৎ শুধু আনন্দ, আদর, ভালোবাসাই নয়, শরীরকেও সুস্থ রাখতে অব্যর্থ দাওয়াই চারপেয়েরা!
