সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) বরাবরই জানিয়ে এসেছে, এই অ্যাপে সমস্ত প্রাইভেট চ্যাট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড। অর্থাৎ দু’জনের মধ্যে যাই কথা হোক না, তা হোয়াটসঅ্যাপও জানতে পারে না। কিন্তু এবার এহেন এনক্রিপটেড বার্তাও পড়তে চাইছে কেন্দ্র। এমনই নতুন এক আইন চালু করতে চাইছে মোদি সরকার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই।
এই নতুন টেলিকম বিলের খসড়া তৈরি হয়েছে। এরপর তা পেশ করা হবে। আর সেই বিলেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ও সিগন্যালের মতো মেসেজিং অ্যাপের এনক্রিপটেড মেসেজ সরকারের নজরদারিতে থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এই নয়া বিল পেশ করলেই তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিতর্ক নতুন মাত্রা নেবে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেবল চ্যাট নয়, ভয়েস ও ভিডিও কলও খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ‘রাস্তা যেন বন্ধ না হয়’, শ্রীভূমির পুজো উদ্বোধনে সুজিতকে ‘ঘ্যাচাং ফুঁ’ করার হুঁশিয়ারি মমতার]
পাশাপাশি আরেকটা প্রশ্নও উঠছে। সত্য়িই যদি শেষ পর্যন্ত এমন আইন চালু হয়ে যায় তাহলে কি আদৌ মেনে চলতে পারবে হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থা? যেহেতু গোড়া থেকেই এনক্রিপশনের মতো টেকনোলজি চালু রয়েছে এই ধরনের অ্যাপে, তাই এই নিয়ম মানতে গেলে সেই টেকনোলজি থেকে সরে আসতে হবে তাদের। ফলে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে, আইনটি মেনে চলা কঠিন ধরে নিয়ে এদেশ থেকে ব্যবসার পাততাড়ি গোটাতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত বিলটি পেশ হয় কিনা।
গত বছরের গোড়ায় হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সরগরম হয়েছিল নেটদুনিয়া। ইউজারদের নাম, ছবি ও এমনকী কথোপকথন প্রকাশ্যে চলে আসার অভিযোগ উঠেছিল সেই সময়। তখন জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপ ছেড়ে অনেকেই টেলিগ্রাম (Telegram) এবং সিগন্যালের মতো অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেন। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ বারবার জানিয়েছে, ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।