সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ‘হানা’য় ত্রস্ত বাংলা থেকে মহারাষ্ট্র। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন ইডি আধিকারিকরা। পাওয়া গিয়েছে বিদেশি মুদ্রা, সোনা-হিরের গয়নাও। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে বঙ্গবাসীর। আবার মহারাষ্ট্রে শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বাড়ি থেকেও মিলেছে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা! যার জেরে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে তাঁকে। এত অর্থ, গয়নাও বাড়িতে রাখা সম্ভব? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। কিন্তু জানেন কী, বাড়িতে নিশ্চিন্তে কত টাকা এবং সোনা রাখা যায়? যা থাকলে অন্তত ইডি’র (ED) ভয়ে রাতের ঘুম উড়বে না। এমন পরিস্থিতিতে হয়তো এ বিষয়টা জেনে রাখাই ভাল। কী বলেন?
প্রথমেই আসা যাক টাকার কথায়। ইচ্ছা করলে আপনি বিপুল পরিমাণ অর্থ বাড়িতে গচ্ছিত রাখতেই পারেন। তবে সেই অর্থের উৎস কী, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সংক্রান্ত বৈধ হিসেবনিকেষ থাকাও আবশ্যক। ধরুন, আপনার বাড়ি থেকে ১ কোটি টাকা পাওয়া গেল। এক্ষেত্রে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে টাকার উৎসব জানাতে পারলেই আপনি নিশ্চিন্ত। কিন্তু টাকার উৎসর হিসেব দিতে না পারলে কিন্তু বিপাকে পড়বেন। ১৩৭ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সেই সঙ্গে ইডি আধিকারিকদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন তো হবেনই।
[আরও পড়ুন: ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ ৪৮ দলের, কোন অঙ্কে সুযোগ পেতে পারে ভারত?]
এবার আলোকপাত করা যাক সোনার দিকে। আয়কর বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাড়িতে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম সোনা রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে এখানেও রয়েছে টুইস্ট। বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলা ও পুরুষদের ক্ষেত্রে সোনা রাখার পরিমাণ কিন্তু আলাদা। বিবাহিত মহিলারা ৫০০ গ্রাম সোনা রাখতে পারেন নিজের কাছে। অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণটা ২৫০ গ্রাম। পুরুষদের সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনা রাখার অনুমতি রয়েছে।
পরিবারের সোনার পরিমাণ যদি আয়কর বিভাগের অনুমতির চেয়ে বেশি হয়, সেক্ষেত্রে কিন্তু সেই সোনা কিংবা সোনার গয়নাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে এক্ষেত্রে সামান্য ব্যতিক্রমও রয়েছে। পূর্বপুরুষদের থেকে অনেকে প্রচুর সোনা পান, কিংবা জমিদারদের বাড়িতে অতিরিক্ত সোনা রাখার রীতি রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরতে হয়।