সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ২০০ বছর আগের মেরি শেলির যুগান্তকারী উপন্যাসের বাস্তব চেহারা। পরীক্ষাগারে দানব তৈরি করেছিলেন ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন। যার পর নিজের সৃষ্টিই হয়ে উঠেছিল তাঁর জীবনের সব থেকে বড় অভিশাপ। একেইভাবে বিবেক দংশনে ভুগে গুগলের (Google) মোটা বেতনের চাকরি ছাড়লেন আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম মেধার জনক জিওফ্রে হিন্টন (Geoffrey Hinton)। বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তিবিদ জানালেন, এআই (AI) নিয়ে উৎকণ্ঠায় ভুগছেন তিনি।
এআই-এর ‘গডফাদার’ বলা হয় ৭৫ বছরের জিওফ্রেকে। টুইট করে গুগলের চাকরি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এও বলেছেন যে সংস্থা থেকে অবসর নেওয়ায় এবার এআই-এর ঝুঁকি নিয়ে খোলা মনে কথা বলতে পারবেন। নিজের আবিষ্কার নিয়েই অনুশোচনায় ভুগছেন তিনি। চাকরি ছাড়ায় গুগলের সমালোচনা করতে পারবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত গুগল যথেষ্ট দায়িত্ববোধ দেখিয়েছে বলেই বিশ্বাস তাঁর।
[আরও পড়ুন: বন্ধের মুখে? আর্থিক সংকটে পরপর দু’দিন গো ফার্স্টের সব বিমান বাতিল]
সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে জিওফ্রে বলেছেন, “এখন আর কোনও বাধা রইল না। খোলাখুলি কৃত্রিম মেধার বিপজ্জনক দিক নিয়ে কথা বলতে পারি। বেশ কিছু বিষয়ে বিপদের দিক রয়েছে। এখন এটুকু বলা যেতে পারে যে এখনও পর্যন্ত বুদ্ধিবৃত্তিতে ওরা (এআই) আমাদের ছাপিয়ে যায়নি। আমার ধারনা, শীঘ্রই সেই ফারাক থাকবে না।” এআই-এর ব্যবহারে বহু মানুষ চাকরি হারাবেন ভবিষ্যতে, আগেই এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই বিষয়ে একমত সৃষ্টিকর্তাও।
[আরও পড়ুন: জেলযাত্রায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মিলল না হাই কোর্টেও, আরও চাপে রাহুল গান্ধী]
সাক্ষাৎকারে জিওফ্রে জানিয়েছেন, কৃত্রিম মেধা কোটি কোটি মানুষে চাকরি ছিনিয়ে নেবে। ভবিষ্যতের পৃথিবী সত্যি-মিথ্যে, কল্পনা-বাস্তব গুলিয়ে ফেলবে। এই প্রযুক্তি দুষ্কৃতকারীদের হাতে পড়লে কী হতে পারে, ভেবে কুল পাচ্ছেন না সৃষ্টিকর্তা। জিওফ্রে জানিয়েছেন, বিবেক দংশন থেকে বাঁচতে নিজেকে প্রবোধ দেন, আমি সৃষ্টি না করলে এই কাজ অন্য কেউ করত। যদিও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, জীবনপ্রান্তে এসে পৃথিবীর ভাল-মন্দের কথা মনে পড়ল কেন?