অর্ণব দাস, বারাসত: অনলাইন ডেলিভারির নামে প্রতারণার ফাঁদ। জালে পা দিয়ে টাকা খোয়াচ্ছেন গৃহবধূরা। ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিত এক বধূ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ব্যাপারটা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, অর্ডার না করা সত্ত্বেও বাড়িতে এসে হাজির হচ্ছে পার্সেল। স্বাভাবিকভাবেই হতচকিত হয়ে যাচ্ছেন গৃহবধূরা। কীভাবে পার্সেল এল তা বুঝে উঠতে পারছেন না। সেই সময় প্রতারকদের তরফে ফোন করা হয়। প্রাপককে জানানো হয়, বিশেষ কাউকে গিফট পাঠাতে গিয়ে ভুলবশত তাঁর ঠিকানায় চলে গিয়েছে। দাম খুব বেশি না হওয়ায় টাকা দিতে রাজি হয়ে যান অনেকেই। এর পর প্রতারকের পাঠানো কিউআর কোডে স্ক্যান করে টাকা পাঠাতেই মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট। এই ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহবধূ জানান, তাঁর বাপের বাড়ি মধ্যমগ্রাম বিধানপল্লি। সেই ঠিকানায় অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার তরফে একটি ঘড়ি অর্ডার হয়েছে বলে জানানো হয়। সেটার পেমেন্টও করা হয়ে গিয়েছিল। অ্যাপেও সেই অর্ডার শো করছিল। কিন্তু তিনি অর্ডার করেননি। তাই ক্যানসেল করা যাচ্ছিল না। তখনই তিনি বুঝতে পারেন প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন। তিনি সতর্ক হয়ে যান।