সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিডনির (Kidney) অসুখে মৃতপ্রায় স্বামী। প্রায় বছর দুয়েক ধরে চলছে ডায়ালিসিস। স্ত্রী চান নিজের কিডনি দিয়ে তাঁর প্রাণ বাঁচাতে। কিন্তু ব্লাড গ্রুপের অমিল সেই ইচ্ছেকে সার্থকতার দিকে নিয়ে যেতে পারছিল না। এই সময়ই দেখা গেল আরেক ব্যক্তির কিডনিও বিকল। তাঁরও স্ত্রীর সঙ্গে ব্লাড গ্রুপ মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিপদ থেকে মুক্তি পেল দুই পরিবারই। রাজধানী দিল্লি সাক্ষী থাকল ‘সোয়াইপ ট্রান্সপ্ল্যান্টে’র এক অনন্য নজিরের।
জানা গিয়েছে, ওই দুই পরিবারই কার্যত আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিডনির অসুখের একেবারে অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে এক ‘অলৌকিকে’রই আশা যেন অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এত সহজে যে বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে কে ভেবেছিল! আশার আলো বয়ে এনেছিল একটা তথ্য। দুই মহিলার ব্লাড গ্রুপ মিলে যাচ্ছে অন্যজনের স্বামীর সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে রাজ্যের কৃতিত্বই নেই! দাবি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের]
এই কর্মকাণ্ডের অন্যতম নায়ক হাসপাতালের কর্মকর্তা ড. বিক্রম কালরা জানিয়েছেন, ”আমরা রোগী ও দাতাদের স্বাস্থ্যের দিকটি খতিয়ে দেখেছিলাম। এরপরই সরকার অনুমোদিত ‘সোয়্যাপ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টে’র প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁদের। শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষের সম্মতি নিয়ে আমরা এগনোর সিদ্ধান্ত নিই।”
এরপরই দক্ষিণ দিল্লির দ্বারকা অঞ্চলে অবস্থিত আকাশ হেলথ কেয়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। অপারেশন সফল হয়েছে। সুস্থ রয়েছেন চারজনই। স্বাভাবিক ভাবেই হাসি ফুটেছে পরিবার দু’টির সদস্যদের মুখে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সহজ ছিল না এই অপারেশন। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা তাঁরা ভালভাবেই সামলাতে পেরেছেন। দু’টি অপারেশনই শুরু করা হয় একসঙ্গে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই হয়েছে। অপারেশনের ধকল ভালভাবেই সামলেছেন ওই চারজন। আর তাই বিপদমুক্তির আনন্দে ভাসছেন তাঁরা। এমন সাফল্যে মুখে হাসি চিকিৎসকদেরও।