সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভক্তের ভক্তিতে সহজেই তুষ্ট হন দেবাদিদেব মহাদেব। আবার অনিয়মে হন রুষ্ট। অনেকের বাড়িতেই পূজিত হন নীলকণ্ঠ। কোথাও মূর্তি হিসেবে, কোথাও আবার ছবি বা শিবলিঙ্গের পূজা-অর্চনা করা হয়। তবে ভুল স্থানে বা ভুল ভাবে মহাদেবের মূর্তি বা ছবি রাখলেই বিপদ। তাতে সংসারের ক্ষতি হতে পারে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অফিসে বা কাজের ডেস্কে শিবমূর্তি, ছবি বা শিবলিঙ্গ একেবারেই রাখা উচিত নয়। এতে শক্তির বা এনার্জির সংঘাত হতে পারে। যার ফলে, লাভের বদলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
মাটি বা মেঝেতে একেবারেই শিবমূর্তি রাখবেন না। এতেও ক্ষতি হতে পারে। একেবারে উপায় না থাকলে পরিষ্কার কাপড় পেতে তার উপরে দেবতার মূর্তি বা ছবি রাখুন।
[আরও পড়ুন: সুন্দর ও ফুটফুটে সন্তানের মা হতে চান? অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৭টি খাবার]
বাড়িতে ধ্যানরত শিবের মূর্তি রাখা খুবই ভাল। এতে শান্তি বজায় থাকে। আবার শিবের তাণ্ডবের মূর্তি বা ছবি রাখা কিন্তু খারাপ। এতে নেগেটিভ এনার্জি বেশি থাকে। সংসারে সারাক্ষণ অশান্তি লেগে থাকে। বাড়িতে নটরাজের মূর্তি রাখতেও অনেকে বারণ করেন।
বলা হয়, বাড়ির উত্তর দিকে শিবের মূর্তি, ছবি রাখা অত্যন্ত ভাল। এতে সংসারের শ্রী বৃদ্ধি হয়। তবে ঘরে একাধিক শিবের মূর্তি রাখলে বাড়তি ফল পাবেন এ ভাবনা ভুল। একটি মূর্তি বা ছবিউ পর্যাপ্ত। ভক্তি ভরে পূজা-অর্চনা করলেই ভোলানাথ তুষ্ট হন।
শুধু সোমবার নয়, প্রতিদিন নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে শিবের পুজো করতে হয়। শিবলিঙ্গ থাকলে আগে ঘি ও মধু দিয়ে তাঁর অভিষেক করবেন। তারপর জল দিয়ে স্নান করিয়ে সুন্দরভাবে মুছে নেবেন। চন্দন দিয়ে সাজিয়ে দেবেন। ভক্তদের বিশ্বাস, এই ভাবে মহাদেবের আরাধনা করলে সমস্ত পাপ থেকে নিষ্কৃতি মেলে। সংসারে শান্তি ফেরে এবং মোক্ষলাভ হয়।