সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিজ্জা। শুনলেই যেন জিভে জল আসে। চিজ, চিকেন অথবা রঙিন বাহারি সবজিতে ঠাসা এই ইতালিয়ান ডিশ যুবপ্রজন্মকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে বেশ সফল। বর্তমানে এ দেশেও পিজ্জার রমরমা চোখে পড়ার মতো। শহরের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠেছে পিজ্জার নানা আউটলেট। দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই। ফলে মাসে দু-একবার পিজ্জার স্বাদ পেতে ভালবাসেন ভোজনরসিকরাও। কিন্তু ইতালির তিন শেফ মিলে যে পিজ্জা বানিয়েছেন, তার দাম শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
[WhatsApp-এর পর এবার স্তব্ধ Facebook Messenger, নাজেহাল গ্রাহকরা]
না, খুব একটা বড় আকারের নয়। সাধারণত যে পিজ্জা খেয়ে থাকেন, তেমনই। ২০ সেন্টিমিটারের পিজ্জাটি দু’জনের খাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। নাম লুইস থার্টিন (Louis XIII)। এবার আন্দাজ করুন তো, ঠিক কত দাম হতে পারে তার! নাহ, পকেটে সে পরিমাণ অর্থ নিয়ে ঘোরা একপ্রকার অসম্ভব। অনেকের হয়তো ব্যাঙ্কের সে পরিমাণ অর্থ নেই। কারণ পিজ্জাটির মূল্য আপনার আন্দাজের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। সেই পিজ্জায় কামড় বসাতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৭ লক্ষ টাকা। বিশ্বাস না হলে আবার পড়ুন। হ্যাঁ, ৭৭ লক্ষ টাকারই পিজ্জা বানিয়েছেন তিন শেফ। এটিই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান পিজ্জা। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই মাপের পিজ্জার দাম এমন আকাশচুম্বি কেন? কী এমন আছে সেই পিজ্জায়?
[পোশাকের ভিতর পোকা? আতঙ্কে ক্যামেরার সামনে কী কাণ্ড করলেন সঞ্চালিকা!]
শেফ রেনাতো ভায়োলা জানাচ্ছেন, Louis XIII পিজ্জাটি তৈরি হতে সময় নেয় ৭২ ঘণ্টা। অর্থাৎ তিনদিন। এবং সেটি পরিবেশন করা হয় রেমি মার্টিন লুইস থার্টিন কনিয়্যাকের বোতলের সঙ্গে। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে দামী মদের মধ্যে অন্যতম। আর সেই কারণেই পিজ্জাটির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এছাড়া পিজ্জাটির বাকি উপকরণগুলির বেশিরভাগই ফ্রান্স ও ইতালি থেকে আমদানি করা হয়েছে। মারে নদীর থেকে সংগৃহিত অস্ট্রেলিয়ান পিঙ্ক সল্ট পিজ্জার স্বাদ যেন আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। ভাবছেন তো, ৭৭ লক্ষ টাকা খরচ করে বড় বাংলো কিনে ফেলা যাবে, অথবা বেরিয়ে পড়া যাবে বিশ্বভ্রমণে। সেসব হতেই পারে। কিন্তু ভোজনরসিকদের অনেকেই নিশ্চয়ই এমন অমূল্য পিজ্জার স্বাদ গ্রহণের জন্য অর্থ খরচে আপত্তি করবেন না।
The post OMG! বিশ্বের সবচেয়ে দামী পিজ্জার দাম ৭৭ লক্ষ টাকা! appeared first on Sangbad Pratidin.