সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীর একত্র বসবাস, যা পরিচিত ভাষায় লিভ ইন রিলেশন হিসাবে পরিচিত তাকে আর অবৈধ গণ্য করে না আদালত। দুই প্রাপ্তবয়স্কের নিজের ইচ্ছায় এই ধরনের জীবনযাপন এখন সমাজের চোখেও অনেকটা গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু লিভ ইন রিলেশনের (Live-in relationship) ক্ষেত্রে মহিলাটি যদি বিবাহিত হন তবে আর তাকে আইনের চোখে গ্রাহ্য বলা যাবে না। কারণ রাজস্থান হাই কোর্টের (Rajasthan High Court) নির্দেশ তেমনটাই।
রাজস্থানের ঝনঝুনু জেলার বাসিন্দা এক বছর তিরিশের বিবাহিত মহিলা ও বছর সাতাশের এক পুরুষের যৌথ আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে বিচারপতি সতীশ কুমার শর্মাকে নিয়ে গঠিত এক সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, মহিলা বিবাহিত হলে সেই লিভ ইন সম্পর্ক আইনের চোখে বৈধতা পেতে পারে না। যদিও আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, দুই আবেদনকারীই প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাঁরা স্বেচ্ছায় একসঙ্গে বসবাস করছেন। এমনকী আদালতে তাঁরা এও জানান যে একত্র বসবাসের জন্য তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: থানায় অভিষেকদের অবস্থান বিক্ষোভের মামলায় ভিডিও রেকর্ড চাইল আদালত]
আদালতের তরফে মহিলা বিবাহিত, এই প্রসঙ্গটির উপর জোর দেওয়া হলে আবেদনকারী জানান, তাঁর স্বামী তাঁর উপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করায় তিনি কার্যত বাধ্য হয়েই আলাদা থাকছেন। পুলিশি নিরাপত্তার জন্যও আরজি জানান তিনি। কিন্তু আদালত সমস্ত আরজি খারিজ করে দিয়ে জানায়, ”গোটা বিষয়টিই অবৈধ, সমাজবিরোধী এবং আইনবিরুদ্ধ।” এমনকী পুলিশি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, ”এঁরা কোনও রকম সুরক্ষা পাওয়ার উপযুক্তই নন।”
আদালতের নির্দেশ, “সমস্ত নথি বিচার করে জানাচ্ছে প্রথম আবেদনকারী বিবাহিত এবং তিনি এখনও ডিভোর্স পাননি। তা সত্ত্বেও তিনি এখন দ্বিতীয় আবেদনকারীর সঙ্গে বসবাস করছেন। এই পরিস্থিতিতে এই সম্পর্ক অবৈধ হিসাবে বিচার্য হবে।” একই সঙ্গে আবেদনকারীদের পুলিশি নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করে বিচারপতি শর্মার রায়, এঁদের পুলিশি সুরক্ষা দেওয়ার অর্থ তাঁদের সম্পর্ককে পরোক্ষে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া। রায়দানের সময় এলাহাবাদ হাই কোর্টের সাম্প্রতিককালের একটি রায়ের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, এলাহাবাদ হাই কোর্টও এই ধরনের ঘটনায় একই নির্দেশ দিয়েছিল।