সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছে ভারত ও চিন। গত ১৫ জুন রাতে দুই পক্ষের সেনার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে শহিদ হন এক কর্নেল-সহ ২০ ভারতীয় জওয়ান। চিনেরও এক কম্যান্ডিং অফিসার-সহ বেশ কিছু সেনা নিহত হয়। কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছেষ ধীরে ধীরে গালওয়ানে পেট্রলিং পয়েন্ট-১৪’র কাছে ফের ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেছে লালফৌজ। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে ওই অঞ্চলে চিনা সেনার তাঁবুর অস্তিত্ব। তবে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনেক আগে থেকেই ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করতে শুরু করেছিল লালফৌজ। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি স্থানীয় এক বিজেপি নেতার। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা নিয়ে সতর্কও করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ তা গুরুত্বই দেননি।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা Line of Actual Control (LAC) গা ঘেঁষে রয়েছে নোয়মা নামে একটি গ্রাম। প্যাংগং লেক থেকে ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত নোয়মা ব্লক ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রধান হলেন উরগেন শোডন। লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল গঠনের পর তিনি বিজেপির টিকিটে এই কাউন্সিলের প্রধান হন। ১৫ জুনের সংঘর্ষের অনেক আগে তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে চিনা চেনার কীর্তি পোস্ট করেছিলেন। কীভাবে ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করছে লালফৌজ তা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি। ১১ জুন তাঁর করা এই পোস্টে তিনি গত বছরের একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করেছিলেন। লিখেছিলেন, চিনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ৬ কিমি ভিতরে নোয়মা ব্লকের ঢোলা গ্রামে ছুকে পড়েছে। সেখানে তাঁরা চিনা পতাকা তুলেছে। স্থানীয়দের সেখানে ভারত ও বৌদ্ধ পতাকা তুলতে বাধা দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় ভূখণ্ডের বেশ কিছুটা ভিতরে ঢুকে এসেছে চিনা সেনা? উপগ্রহ চিত্র ঘিরে বিতর্ক]
অন্য একটি পোস্ট শোডন লেখেন, গ্রামবাসীদের পশু চরানোর কাজে বাধা দিচ্ছে চিনা ফৌজ। ওদের দাবি, এটা নাকি ওদের এলাকা। তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৫ সালেও এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন শোডন। গত এপ্রিলে তিনি ওই এলাকায় ৩০০-৩৫০ চিনা গাড়ি দেখেছিলেন। ফেসবুকেও সে কথা লিখেছিলেন। কিন্তু এই পোস্ট এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে জানানো হয় তাঁকে। ফলে সেগুলি ডিলিট করতে বাধ্য হন শোডন। শুধু তিনি নন, কংগ্রেস নেতাদেরও দাবি, এলাকায় চিন অনেকদিন আগে থেকেই থাবা বসাচ্ছে। ২০১৩ সালে ডেমচোকে একটি ক্যানাল দখল করে নিয়েছে চিনা সেনা। তাঁদের দাবি, চিনের আগ্রাসন নিয়ে সম্প্রতি সাংসদ নামগিয়ালকে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কর্ণপাত করেননি তিনি। এমনকী সাবেক জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককেও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি।
[আরও পড়ুন: গালওয়ান উপত্যকায় কালো ত্রিপলের ছাউনি চিনাদের! নয়া উপগ্রহ চিত্রে বাড়ছে ধোঁয়াশা]
The post লাদাখে ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে লালফৌজ, অনেক আগে সতর্ক করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.