সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসনের ডেউপুকুর গ্রামে তৃণমূল নেতা শুকুর আলির বাড়ি থেকে গুলি ও বন্দুক বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। আর শাসকদলের অস্বস্তিই যেন অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের। অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের ইস্যুকে হাতিয়ার করেই রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁকে পালটা জবাব দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বুধবার পুরুলিয়া শহরে একটি ধর্মশালায় আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে যান লকেট। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট সামনে আসছে। প্রত্যেক তৃণমূল নেতাদের ঘরে তদন্ত করা হলে প্রচুর অস্ত্র পাওয়া যাবে। বিছানার তলা থেকে এবং মাটি খুঁড়ে অস্ত্র পাওয়া যাবে। এরা অস্ত্র মজুত করে রাখছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরা রক্ত দিয়ে ভোট চায়। এরা খুন দিয়ে ভোট চায়। এরা বন্দুক দিয়ে ভোট চায়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এরা পঞ্চায়েত ভোট মানুষের কাছ থেকে নেবে এবং পঞ্চায়েত ভোটে কাউকে নমিনেশন জমা দিতে দেবে না, তার জন্য এরকম করছে। এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। এরা যেন জামিনেও ছাড়া না পায়।”
[আরও পড়ুন: ‘খুশি করলেই চাকরি পাবি’, তরুণীকে কুপ্রস্তাব! বিতর্কে দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান]
এখানেই শেষ নয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন লকেট। তাঁর দাবি, “পুলিশ এবং তৃণমূলের নেতারা এক হয়ে গিয়েছে। থানাগুলো পর্যন্ত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একথা বলা হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর চেন্নাই সফরকেও কটাক্ষ করেছেন লকেট। স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে বলেই দাবি তাঁর। বুধবার ইডি’র তলবে দিল্লিতে গিয়েছেন অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডল। লকেট এই ইস্যুও হাতছাড়া করেননি। তাঁর তোপ, “এরা এত পাপ করেছে যে নিজের মেয়েকেও ওই পাপে যুক্ত করেছে। এরা কখনই ভাল হতে পারে না।”
লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “লকেট চ্যাটার্জি সাংসদ হিসাবে বিধানসভায় দাঁড়ালেন। তারপর হারলেন। বিধানসভা ভোটে বললেন সুস্থ ভোট। এখন অসুস্থ ভোট কেন? সাংসদ হিসাবে কত বড় ব্যর্থ, নিজের এলাকায় সব বিধানসভায় হেরেছেন। আবার হারবেন। আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।”