নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লি যতই একসঙ্গে চলার বার্তা দিক না কেন, বারবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের ফাটল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) পদ্মফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। তারপরই তিনি দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষেদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। কিন্তু দূরত্ব বজায় রেখেছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেন্ট্রাল হলে শুভেন্দুর সঙ্গে শুধুমাত্র একবার সৌজন্য বিনিময়ে হয়েছে মাত্র।
এদিকে বাংলা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সেভাবে পাত্তা না পেয়ে দিল্লির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন হুগলির সাংসদ। বুধবারও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’র বাইক র্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন লকেট। নিজের ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করেছেন।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বাড়ছে মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক, কী করবেন, কী নয়? নয়া গাইডলাইন দিল কেন্দ্র]
মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। সূত্রের খবর, সুকান্তকে নাড্ডা জানিয়ে দিয়েছেন এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) সুবিধা পেতে হলে আরও সংগঠিতভাবে আন্দোলন করতে হবে। বঙ্গ বিজেপি যে আন্দোলন করছে সেটা ছন্নছাড়া। কখনও রাজ্যস্তরে আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে তো নিচুতলায় হচ্ছে না, আবার কখনও নিচুতলায় হলে জেলাস্তরে হচ্ছে না। এভাবে ছন্নছাড়া আন্দোলনে হবে না। সুগঠিতভাবে সকলকে একসঙ্গে পথে নামতে হবে। শুভেন্দুকেও সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন শাহ-নাড্ডারা। এরপরই দ্রুত দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
সূত্রের খবর, শাহ-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য সভাপতি হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। বিজেপিতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ মেনে চলার রীতি রয়েছে। সেই রীতি মানলে পরিষদীয় দলনেতার পদ ছাড়তে হতে পারে শুভেন্দুকে। বিষয়টি জানার পরও রাজ্য সভাপতি পদ পেতে ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন তিনি, যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।