বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, রায়বরেলি: রায়বরেলির ভোট ময়দান যেন কলকাতার যুবভারতী। রায়বরেলিতে বিজেপি বনাম জোটপ্রার্থী রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভোটযুদ্ধ যেন কলকাতা ডার্বি। ডার্বিতে একে অপরকে টেক্কা দিতে দেদার অর্থ খরচ করে যেমন বিদেশি খোলোয়াড় আনা হয় তেমন রায়বরেলি জিততে ভিনরাজ্য থেকে দু’পক্ষ হাজির করেছে হাজার হাজার নেতাকর্মী।
গোটা রায়বরেলির (Rahul Gandhi) দখল নিয়েছে গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের ভোট ময়দানের কুশীলবরা। কে নেই দু’দলের টিমে। বিদায়ী সাংসদ, মন্ত্রী বিধায়ক থেকে বাহুবলি। ভোট ময়দানে হাজির সকলেই। রঙেই শুধু ফারাক। কলকাতা ডার্বিতে দু’দলের রঙ লাল হলুদ ও সবুজ-মেরুন। এখানে গেরুয়া সাদা এবং লাল সবুজ।
[আরও পড়ুন: যোগ্য তো? নথি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে রাজ্যের সব শিক্ষককে, জারি নির্দেশিকা]
রায়বরেলির বিজেপি প্রার্থী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মন্ত্রিসভার সদ্য দীনেশ প্রতাপ সিং বাহুবলী বলেই পরিচিত। অমিত শাহর (Amit Shah) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই নেতার শহরের দু’দুটি বাড়ি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। থুড়ি, বাড়ি নয়, প্রাসাদ বলাই ভাল। বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা সরকারি ও বেসরকারি রক্ষীবাহিনী। প্রার্থীর রয়েছে নিজস্ব দেহরক্ষী। ২৪ ঘণ্টা তাঁরা ঘিরে রাখে দীনেশকে। রায়বরেলি দখলে তিনি যে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবেন তা বলাই বাহুল্য। শহরের সিংহভাগ হোটেল বিজেপি প্রার্থীর দখলে। সেখানে ঘাটি গেড়েছে মূলত গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আগত ভোট ‘অতিথিরা’। নিঃশব্দে কাজ করছেন তাঁরা। যেমন সুরাট পূর্বের বিধায়ক অমৃত ভাই রাণা ও উলধানার বিধায়ক মাহন ভাই প্যাটেল দলবল নিয়ে রয়েছেন শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ৩০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর একটি বেসরকারি অতিথিশালায়। সেখানে পৌঁছে কথা বলের চেষ্টা করলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন দু’জনেই। শুধু মোহন প্যাটেল জানান, দলের নির্দেশ। এরকম বহু বহিরাগত ‘অতিথি’দের রায়বরেলিতে নিয়ে এসেছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষকতা! বাগুইআটির নামী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ]
টেক্কা দিতে পিছিয়ে হাত শিবিরও। রাজস্থান ও ছত্তিশগড় থেকে খেলোয়ার ভাড়া করে এনেছেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও ভূপেশ বাঘেলরা। শহরজুড়ে রাজস্থানের নম্বর লেখা গাড়ির দাপাদাপি চলছে। তবে যেহেতু রায়বরেলি কংগ্রেসের (Congress) গড়। তারওপর অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) অনুগামীরা রাহুল গান্ধীকে জেতাতে প্রচন্ড গরমে পরিশ্রমে কোনও খামতি রাখছে না। তাই কংগ্রেসের ভাড়াটে খেলোয়ারের সংখ্যা পদ্মপক্ষের তুলনায় কম। স্থানীয় খেলোয়ারের ওপর বেশি ভরসা রাখছে জোট শিবির।