সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১০ তারিখ ব্রিগেডে হয়েছিল তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’। সেখান থেকে রাজ্যের ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর তার পর থেকেই প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। আর সেই জনগর্জন সভার সম্প্রসারণ হিসেবে রাজ্যের ৫ জায়গায় আরও পাঁচটি জনসভা করছেন অভিষেক। আজ, ১৪ মার্চ জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি থেকে সেই সভা শুরু করলেন তিনি। আর ময়নাগুড়ির সভা থেকেই বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বাজালেন। বললেন, ”আজ খুঁটিপুজো করলাম, বিসর্জন মে মাসের শেষে।” তাঁর এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট, উনিশের লোকসভা ভোটে(Lok Sabha Election 2024) উত্তরবঙ্গের প্রায় সবকটি আসন থেকে যেভাবে গেরুয়া শিবিরকে ঢেলে ভোট দিয়েছে, এবার তাঁদের থেকেই জনসমর্থন চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা ভোটের আগে গত সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে প্রচার সেরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Naredra Modi)। গত ৯ তারিখ শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দানে এসে সেখান থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন মোদি। পরের সপ্তাহে ময়নাগুড়ি গিয়ে তার সমুচিত জবাব দিলেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে ফিরছি, লাইনে আরও বড় নেতা’, বিস্ফোরক দাবি ‘গেরুয়া’ অর্জুনের]
ময়নাগুড়ির ‘জনগর্জন সভা’ থেকে অভিষেক বললেন, ‘‘কার গ্যারান্টি নেবেন? আমি এক কথার ছেলে। কথা দিয়ে কথা রাখি’’, বললেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। অমিত শাহের ডেপুটি। সেখানকার ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার শ্রমিকের টাকা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। নিশীথ কি একটাও চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে? জলপাইগুড়ির সাংসদও কি একটাও চিঠি দিয়েছেন? শ্রমিকদের টাকা আটকে। এই জন বার্লা, মনোজ টিগ্গারা কি কোনও চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে? এই টাকা খেটে খাওয়া টাকা। আপনি পারবেন বাড়িতে কাউকে কাজ করিয়ে টাকা না দিতে?’’
[আরও পড়ুন: নৈহাটিতেও ‘সাম্রাজ্য’ শাহজাহানের! ‘জমি হাঙরে’র সঙ্গে ‘আঁতাঁত’ পার্থর, বিস্ফোরক অর্জুন]
অভিষেকের আরও বক্তব্য, ‘‘২০১৯এ যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন, এতজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেছিলেন, তাঁরাই ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেখে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন তো। ২০২৪ সালে যাঁকে ইচ্ছা ভোট দিন, নিজের অধিকার সামনে রেখে দিন।’’ বিজেপিকে ফের ‘বহিরাগত’ বলে তোপ দেগে তাঁর খোঁচা, ”যাঁরা আপনাদের মনের ভাষা বোঝে না, মুখে ভাষা বোঝে না, তাঁদের ভোট দিয়ে কী হবে?”