বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: জেলযাত্রার পর বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দিয়েছিলেন স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে। দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার না ছাড়লেও অলিখিত আম আদামি পার্টির দায়িত্ব তুলে দিলেন সহধর্মিনী সুনীতার উপর। স্বামী তিহার জেলে বন্দি। তাই লোকসভা ভোটের প্রচারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার পূর্ব দিল্লি কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নামবেন তিনি। শুধু দিল্লি নয়, স্বামীর শূন্যস্থান পূরণে ভিন রাজ্যেও সুনীতা প্রচারে যাবেন বলে সূত্রের খবর। স্ত্রীকে সামনে রেখে সহানুভুতির হাওয়া তুলে ভোটবাক্স ভরাতে কেজরিওয়ালের এই কৌশল বলে কটাক্ষ করছে গেরুয়া শিবির। তাতে চিঁড়ে ভিজবে না বলেই ধারণা বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের।
মার্চের ২১ তারিখ আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তার পর থেকে দল বা মন্ত্রিসভা এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেতুবন্ধনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা। এমনকী ইন্ডিয়া জোটের দুটি সভা দিল্লি ও রাঁচিতও আম আদমি পার্টির (AAP) মুখ হিসাবে হাজির ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) হয়ে প্রচারে ছিলেন সুনীতা। তাছাড়া তেমনভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি তাঁকে। কারণ, দল পরিচালনা থেকে সরকার কেজরিওয়ালের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব সামলাতেন মনীশ সিসোদিয়া। তিনিও এখন জেলে।
[আরও পড়ুন: বেড়েছে কর্মসংস্থান, ‘আচ্ছে দিন’ ভারতে, বলছে পরিসংখ্যান]
ফলে পরবর্তী মুখ হিসাবে সুনীতার উপরই যে নেতৃত্বকে ভরসা রাখতে হবে, তা আগেই স্পষ্ট হচ্ছিল। এবার তিনি লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে নামতে রাজি হওয়ায় তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হল। দিল্লিতে সাতটি আসনের মধ্যে চারটি আপ ও ৩টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। আপের প্রার্থী রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম ও দক্ষিণ দিল্লি, নতুন দিল্লি আসনে। এই চারটি আসনেই দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। এছাড়াও গুজরাটে (Gujarat) আম আদমি পার্টি ভিআইপি প্রচারকদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে প্রথমেই রয়েছে সুনীতা কেজরিওয়ালের নাম।
[আরও পড়ুন: আচমকাই অসুস্থ কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ী, ভর্তি হাসপাতালে]
মনে করা হচ্ছিল, কেজরিওয়াল পরবর্তী দলের মুখ হবেন অতিশী। কিন্তু কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তোলেন সুনীতা। ফলে পিছনের সারিতে চলে যান অতিশী। তাই এখন থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি পর্যন্ত বকলমে তিনিই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করছে আপ নেতৃত্বের একাংশ।