অর্ক দে, বর্ধমান: নিজের এলাকার ঘাসফুল প্রার্থীর রোড শো। আবেগ নিয়েই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু তীব্র গরমে প্রচারে বেরিয়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আর তাঁর অসুস্থতার কথা জানতে পেরে প্রচার থামিয়ে চিকিৎসা করলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার। ওই মহিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাড়ি পাঠানোর পরেই ফের প্রচার শুরু করেন তিনি। শর্মিলা সরকার বলেন, ‘‘তীব্র গরমের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চোখের সামনে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে তাঁর সাহায্য করা আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য। রাজনৈতিক পরিচয় হিসাবে প্রার্থী হলেও আমি পেশায় একজন চিকিৎসক। এই পরিস্থিতিতে নিজের চিকিৎসা ধর্ম পালন না করে মুখ ফিরিয়ে থাকা সম্ভব নয়।’’
প্রচারে বেরিয়ে স্বাস্থ্য শিবিরের বসে রোগী দেখলেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার। নিজস্ব ছবি।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভা এলাকার হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতু থেকে কৃষ্ণরামপুর পর্যন্ত রোড শো ছিল তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) শর্মিলা সরকারের। রোড শো-য় অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা কবিতা বাগ। কিন্তু তিনি আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে টোটোয় তুলে দেওয়া হয়। সেসময় মিছিলের সামনে হুড খোলা গাড়িতে চড়ে প্রচার করছিলেন বর্ধমান পূর্বের (Bardhaman Purba) তৃণমূল প্রার্থী। শুনতে পান, জনৈক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তা শুনেই প্রচার থামিয়ে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে আসেন শর্মিলা সরকার। টোটোর মধ্যেই ওই মহিলার চিকিৎসা করেন প্রার্থী। লিখে দেন প্রেসক্রিপশন (Prescription)। এর পর কবিতা বাগ কিছুটা সুস্থবোধ করলে তাঁকে বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক প্রার্থী শর্মিলা সরকার। তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে শুরু করেন প্রচার।
[আরও পড়ুন: ‘লজ্জা হওয়া উচিত’, শ্লীলতাহানি ইস্যুতে রাজ্যপালকে CCTV ফুটেজ চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]
এছাড়াও এদিন কৃষ্ণরামপুর এলাকায় একটি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের (Medical Camp) আয়োজন করা হয়েছিল। চারজন চিকিৎসক এই ক্যাম্পে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। এদিন প্রার্থী এই স্বাস্থ্য শিবিরেও যোগদান করে রোগীদের চিকিৎসকরা পরিষেবা দেন। প্রার্থীর সমর্থনে মেমারি (Memari) বিধানসভায় সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন, ‘‘সরকারি চাকরি ছেড়ে মানুষের সেবা করার জন্য প্রার্থী হয়েছে শর্মিলা সরকার। সরকারি চাকরি না করেও মানুষের জন্য কাজ করা যায়। আমার বিশ্বাস, এই মেয়ে আপনাদের পাশেই থাকবে, ছেড়ে চলে যাবে না। তাই ওকে জেতান।’’
[আরও পড়ুন: সংসদের সিদ্ধান্তের জের! উচ্চ মাধ্যমিকে বিষয় বাছাই ঘিরে জটিলতা তুঙ্গে]
তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারের বক্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে আসব কোনওদিন ভাবিনি। ছোট থেকে চিকিৎসক হওয়ার দিকেই ঝোঁক ছিল। তবে বৃহৎ অর্থে মানুষের সেবা করার জন্যেই রাজনীতিতে যোগদান করেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুপ্রেরণায় এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী দিনে তাঁর আদর্শ মেনেই মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’’ শনিবার বিকালে জামালপুর ব্লকের আবুঝহাটি এলাকায় র্যালি করেন তিনি।