রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) আগে বড় চমক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলে যোগ দিলেন ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। বরোদার ইউসুফ এবার বহরমপুরের প্রার্থী। বিপক্ষের বোলিং নয়, বরং এবার ইউসুফের প্রতিপক্ষ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অবশ্য জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী ইউসুফের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ নতুন নয়। ২০১২ ও ২০১৪ সালে দুবার আইপিএল (IPL) জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। সেই দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন অলরাউন্ডার। স্বভাবতই তাঁকে খুব কাছ থেকে চেনেন মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary), লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla), দেবব্রত দাস। সংবাদ প্রতিদিন.ইন-এর মাধ্যমে বাংলার তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার, রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলা ইউসুফকে শুভেচ্ছা জানালেন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে রীতি বদল, মমতার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে প্রার্থী ঘোষণা ‘সেনাপতি’ অভিষেকের]
মনোজ তিওয়ারি বলেন, “দুই হাত বাড়িয়ে আমাদের দলে ইউসুফকে স্বাগত জানালাম। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম আইপিএল জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলাম আমি ও ইউসুফ। আশাকরি ইউসুফ নির্বাচনের লড়াইয়েও জিতবে। আমি তো ইউসুফের হয়ে প্রচারেও নামব।”
বাইশ গজের যুদ্ধে ইউসুফ ছক্কা মারতে ওস্তাদ হলেও, রাজনীতির মঞ্চে তাঁর জন্য অনেক বেশি লড়াই অপেক্ষা করছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্রে তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন অনেক অভিজ্ঞ অধীর চৌধুরী। যা তাঁর গড় হিসাবে পরিচিত। পাঁচবার ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন অধীর। যদিও লক্ষ্মী এত রাজনীতির কচকচানিতে যেতে রাজি নন। বরং বন্ধু ইউসুফের জন্য গর্বিত লক্ষ্মী।
বাংলার হেড কোচ বলছেন, “ইউসুফ আমার খুব ভালো বন্ধু। আজ থেকে নয়, অনেক দিন আগে থেকে। আমরা একসঙ্গে কেকেআর খেলেছি। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। নতুন ময়দানে আমার বন্ধুর প্রতি শুভেচ্ছা থাকল।”
লক্ষ্মী-মনোজের মতো একইরকম ভাবে ইউসুফকে শুভেচ্ছা জানালেন দেবব্রত দাস। একইসঙ্গে সামনে আনলেন ইউসুফের অন্য দিক। দেবব্রত বলছিলেন, “ইউসুফকে বরাবরই আমার বড্ড মুডি মনে হয়েছে। তবে একটা জিনিস দেখতাম, ও কিছুতেই হাল ছাড়তে চাইত না। রান না পেলেও ওর মধ্যে কখনও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখতে পাইনি। ও বারবার বলত, ‘আমাকে খেলিয়ে দেখ। আমি রান করে দেব!’ এবং রান করেছে ইউসুফ।” এর পর তিনি ফের যোগ করেন, “আমি চাই দ্বিতীয় ইনিংসেও ইউসুফ যেন নিজের সেই আত্মবিশ্বাস বজায় রাখে। যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইউসুফ বড় বড় ছক্কা মারত, সেই আত্মবিশ্বাস আমি এবারও ইউসুফের কাছ থেকে আশা করছি। আমার মনে হয় ইউসুফ নিজের দ্বিতীয় ইনিংসেও সফল হবে।”
দুবার ভারতের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য। সঙ্গে জিতেছেন তিনবার আইপিএলের খেতাব। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য বিপক্ষের বোলাররা তাঁকে সমীহ করতেন। এহেন ইউসুফ এবার রাজনীতিতে। এহেন ইউসুফ কি তাঁর নতুন ইনিংসেও সফল হবেন? সেটা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।