কোয়েল মুখোপাধ্যায়: শরীর তো পাওয়াই যায়। মন নয়। শরীর না মন? কাম, না লালসা, না ভালবাসা? মনের গহনে লুকিয়ে থাকা ওই অনুভূতিটা আসলে কী? সত্যিই! এ বড় জটিল, কঠিন প্রশ্নই বটে। ওই যেটা রোজ সকালে পাশের বাড়ির ঝিন্টিকে দেখলে ঝন্টুর মনে হয়? বা কলেজে বাংলা ক্লাসে ‘কিলার’ হাসি হেসে গৌরী যখন পাশে বসে? কিংবা অফিসের হাজিরা খাতায় সইয়ের লাইনে কঙ্কণা থাকলে শোভনের যেমনটা হয় আর কী!
এল.ও.ভি.ই না এল.ইউ.এস.টি? চার অক্ষরের এই দুই শব্দের মধ্যে কোনটি এখন আপনার মগজে বাসা বেঁধেছে? কীভাবেই বা বুঝবেন তা? ভেবে ভেবে সারা হচ্ছেন। উত্তর না পেয়ে গ্লাস গ্লাস জল খাচ্ছেন। তবুও চিন্তা থেকে রেহাই নেই। এসিতেও বসে বসে ঘামছেন। না, আর দুশ্চিন্তা করবেন না। প্রেম-অপ্রেমের মধ্যবর্তী পর্দাটি সরাতে এগিয়ে এসেছে কেনিয়ার একটি ওয়েবসাইট। একবার দেখে নেওয়া যাক, কী দাওয়াই?
[কারও নম্বর ‘সেভ’ না করেই কী করে WhatsApp মেসেজ পাঠাবেন?]
এক বন্ধু ব্যস্ততার কারণে কনসার্টে যেতে পারছে না। টিকিট দুটি আপনাকেই গছিয়ে দিয়ে গিয়েছে। কাকে নিয়ে যাবেন, এই মনে করে একদম বসে থাকবেন না। কনসার্টে যাবেন, আর সঙ্গিনীকে সঙ্গে নিয়েই যাবেন। এখন প্রশ্ন হল আপনার ‘সে’ আদৌ আছে কিনা। না থাকলেও ক্ষতি নেই। এই মুহূর্তে কাকে পাশে বসিয়ে কনসার্ট উপভোগ করতে চাইছেন একবার ভাবুন। যে নামটি মনে আসবে কল্পনায়, তাঁর হাতটি ধরেই ঘুরে আসুন কনসার্টের অডিটোরিয়ামে। যদি হাতে হাত রাখার অনুভব আপনাকে স্বর্গীয় অনুভুতি দেয়, তাহলে ভুঝতে হবে শরীর নয়, প্রেম এসেছে মনে।
আরও একধাপ এগিয়ে যান। প্রেমের বহিঃপ্রকাশ তো করতেই হবে। তাই কনসার্টে গান শোনার পাশাপাশি টুকটাক কথাবার্তাও চলুক। কথা প্রসঙ্গ যদি দিক বদলে শরীরকেন্দ্রিক আলোচনায় মোড় নেয়, তাহলে সাবধান। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে যে কোনও বিষয়েই আলোচনা চলতে পারে। দু’জনের যদি তাতে মত থাকে। খেয়াল রাখুন কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দু’জনের কেউ অস্বস্তিতে পড়ছেন কিনা। যদি না পড়েন, তাহলে বুঝবেন প্রেমের গাড়ি স্টপেজ থেকে ছাড়তে চলেছে। আর যদি স্রেফ তাঁর শার্চ থেকে ঘাম বা ডিও-র গন্ধ প্রাণভরে থুড়ি নাকভরে গ্রহণ করতে ইচ্ছে করে, আর সে কারণেই তার হাতে টিকিটখানা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা কামনারই প্রকাশ।
[মাত্রাতিরিক্ত বলবর্ধক পানীয় সেবনে হতে পারে মৃত্যু, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ]
এবার এল দেখা করার পালা। সঙ্গী চাইছেন একান্ত আলাপচারিতায় মাততে। সেই কথোপকথন কফিশপে হলে মন্দ নয়। নদীর পাড় হলেও চলে যায়। সেটুকু আগল পেরিয়ে যদি সঙ্গী আপনার হাত ধরে পার্কের নিভৃত কোণ খোঁজেন, তাহলে আর না এগোনোই ভাল। দুদিনের আলাপে এমন নিভৃতচারণ কিন্তু বিপথগামীতার ইঙ্গিতই দেয়।
এরপরেও সঙ্গী যদি বুঝতে পারেন ভুল হচ্ছে, তবে শুধরে নেওয়ার একটা সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। দু’জনের মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হতেই পারে। আচমকাই পরীক্ষা করার দুষ্টুবুদ্ধি আপনার মাথায় চাপল। তুমুল ঝগড়া জুড়ে দিলেন। তাই দেখে আপনার ‘সে’ প্রথমটায় বিমর্ষ হলেন। পরক্ষণেই কোমর বেঁধে ময়দানে না নেমে সন্ধিতে আগ্রহী হলেন। তাহলে বুঝতে হবে প্রেমের গাড়ি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। বেশি ভাবনাচিন্তা না করে গাড়িতে চড়ে বসুন। যদি দেখেন দৃশ্যপট এর বিপরীতে, তাহলে পাততাড়ি গুটিয়ে নিজের অঙ্গনে ফিরে আসেই শ্রেয়।
[ব্যস্ততার মধ্যেই গ্রাস করছে বিষণ্ণতা? নিজেকে চনমনে রাখুন এই উপায়ে]
The post সঙ্গীর ব্যবহারে কামনা না ভালবাসার প্রকাশ? পরখ করুন এই উপায়েই appeared first on Sangbad Pratidin.