সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুমি যে আমার..., কুছ কুছ হোতা হ্যায় মার্কা প্রেম বর্তমান প্রজন্মের কাছে যেন বড়ই একঘেয়ে। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই হ্যাপেনিং কিছু দরকার। প্রেমই বা বাদ যায় কেন? তাই পুরনো সেই দিনের কথা অতীত করে বদলে গিয়েছে সম্পর্কের সমীকরণও। আচ্ছা বলুন তো, প্রেমে পড়ার পর কখনও ঘোস্টলাইটিং শব্দের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল? শ্রেকিং কিংবা মাইক্রো-ম্যান্স ডেটিং। নিশ্চয়ই নয়। সবই যে এসেছে জেন জি'র হাত ধরে! শুধু ভাষা নয়, প্রতিটা ডেটিংয়ের সঙ্গেই পালটে যায় প্রেমের সংজ্ঞাও। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০২৫-এ ট্রেন্ডিং ছিল জেন-জি'র পছন্দের কোন ডেটিং টার্ম, যা রাজত্ব করবে ছাব্বিশেও।
সোয়্যাগ গ্যাপ- জেন-জি'র কাছে অত্যন্ত পরিচিত শব্দ সোয়্যাগ গ্যাপ। ব্যাপারটা ঠিক কী? অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রেমিক-প্রেমিকা একেবারেই মানানসই নয়। হয়তো প্রেমিকা অত্যন্ত আধুনিক। সাজপোশাক থেকে আচরণ, সবেতেই রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। নিজেকে সুন্দর রাখতে সর্বদা রূপচর্চা করেন তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গী হয়তো রূপ বা পোশাক, কোনও কিছু নিয়েই চিন্তিত নয়। অর্থাৎ বলা অস্বাভাবিক জুড়ি।
ফিউচার প্রুফিং- সময়ের সঙ্গে বদলেছে সম্পর্কের ধরণ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ক্যাজুয়াল সম্পর্ক খুব একটা বড় বিষয় নয়। এসবের মাঝে ফিউচার-প্রুফিং কিন্তু একেবারে আলাদা। এক্ষেত্রে দীর্ঘ পথ একসঙ্গে হাঁটার পরিকল্পনা নিয়েই হাত ধরেন দু'জন। এবং খুব বেশি সময়ে ডেটিংয়ে ব্যয় করেই সম্পর্ককে পরিণতি দেন এরা।
মাইক্রো-ম্যান্স- প্রেমের শুরুর দিনগুলোকে পারলে আকাশের চাঁদও নিয়ে আসার চেষ্টা করেন সঙ্গী। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলায়। অধিকাংশ সম্পর্কেই দেখা যায়, প্রথম দিনের মতো এফোর্ট দিচ্ছেন না প্রেমিক-প্রেমিকা কেউ-ই। তার ফলে দূরত্ব অনিবার্য। মাইক্রো-ম্যান্সিং হল, প্রথম দিকে চাঁদ এনে দেওয়ার চেষ্টা করে মাঝপথে হারিয়ে যাওয়া নয়। প্রথম থেকেই একইরকমভাবে সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল থাকা।
প্রতীকী ছবি
ঘোস্টলাইটিং- এবছরে সবচেয়ে বেশি চর্চায় এই ঘোস্টলাইটিং। হয়তো আজ প্রেমিক আপনাকে চোখে হারাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে আপনার খোঁজ নিচ্ছে, জানাচ্ছে সে আপনাকে কত ভালোবাসে। আচমকা দেখলেন, সে নেই। আশপাশ শুধু নয়, সোশাল মিডিয়াতেও আপনি ব্লকড! যা আপনাকে নিজের কাছে অপরাধী করে তুলবে। সে কিছু না বলে চলে গিয়েছে, এদিকে আপনি ভেবে চলেছেন নিশ্চয়ই আপনিই কিছু ভুল করেছেন তাই সে কষ্ট পেয়ে দূরত্ব বাড়িয়েছে। কিন্তু তেমনটা একেবারেই নয়।
শ্রেকিং- অনেকেই নিজের সুন্দর হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত কম সুন্দর, কম আকর্ষণীয় কারও সঙ্গে প্রেমের সঙ্গে জড়ায়। উদ্দেশ্য একটাই, তাঁদের ধারণা উলটোদিকের মানুষটা অপেক্ষাকৃত কম আকর্ষণীয় হওয়ায় তিনি সর্বদা গুরুত্ব পাবেন। সঙ্গী লয়াল থাকবে।
ব্যাঙ্কসেয়িং- এখানে কোনও লড়াই-অশান্তি নেই। সঙ্গী ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ায়। এড়িয়ে যেতে শুরু করে। বিচ্ছেদের পথে হাঁটে না ঠিকই কিন্তু ধীরে ধীরে অনুভূতি শূন্য হয়ে যায় সম্পর্ক। বুঝেও কিছু করার থাকে না উলটোদিকের মানুষটার। ঘোস্টলাইটিং-এর থেকেই টক্সিক এই ব্যাঙ্কসেয়িং।
