সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শেষ দিন দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আমাজন, সুইগি, জোমাটো, জেপ্টো, ফ্লিপকার্ট, ব্লিঙ্কিটের মতো ডেলিভারি অ্যাপের কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে সুইগি ও জোমাটোর তরফে কর্মীদের বর্ষশেষে ও ব্যস্ততম সময়ে ইনসেনটিভ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিক্ষোভের মুখে পড়েই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
জোমাটো জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত সময়কালে অর্ডার পিছু ১২০-১৫০ টাকা দেওয়া হবে। এমনকী অর্ডার ক্যানসেল হলে কর্মীদের থেকে যে পেনাল্টি কাটা হয়, তাও নেওয়া হবে না। অন্যদিকে সুইগিও একই ঘোষণা করেছে। জানিয়েছে ৩১ ডিসেম্বর, ১ জানুয়ারি ডেলিভারির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। অন্যদিকে বছরের প্রথম দিনেই ৬টা রাত বারোটা পর্যন্ত সময়কালে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনসেনটিভের কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে জেপ্টোর তরফেও কর্মীদের অতিরিক্ত ইনসেনটিভের কথা জানানো হয়েছে।
ঠিক কোন কোন দাবিতে ধর্মঘটের পথে গিগ কর্মীরা? যার মধ্যে অন্যতম কম মজুরি। এছাড়াও রয়েছে ‘কুইক সার্ভিস’ নিয়ে আপত্তি। তাঁদের দাবি, মিনিট দশেকের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার দ্রুততায় বহু সময় প্রাণ হারান কর্মীরা। আবার ডেলিভারি দিতে একটু দেরি হলেই দিতে হয় কড়া জরিমানা। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ, নিরাপত্তাহীন কাজের পরিবেশ, সামাজিক সুরক্ষার অভাবের মতো বিষয়ও রয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন, গিগ অর্থনীতির পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হতে থাকায় প্ল্যাটফর্ম কোম্পানিগুলির ওপর চাপ বাড়াতেই বারবার ধর্মঘট ডাকতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, কারণ না দর্শিয়ে ছাঁটাই করা যাবে না। কর্মীদের পিএফ ও বিমার সুবিধা দিতে হবে। এর আগে ২৫ ডিসেম্বরও ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। অবশেষে ৩১ ডিসেম্বরের ধর্মঘটের দিন বাড়তি ইনসেনটিভ ও অন্য সুবিধার কথা জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে সুইগি ও জোমাটোর মতো নামী ডেলিভারি অ্যাপ সংস্থাকে।
