নব্যেন্দু হাজরা: ভিড় আর উন্মাদনা দেখে মনে হচ্ছে, ‘শোলে’ রিলিজ করেছে। শুক্রবার বিকেলে সোনালি সিনেমা হলে নিজের অভিনীত ‘ওহ লাভলি’ দেখে বেরিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি মদন মিত্রের। মদন মিত্র সবসময়ই বর্ণময়, রঙিন। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু বড় রঙিন পর্দায় নিজের প্রথম সিনেমা মুক্তির আগে একটুও কি টেনশন নেই? মদন স্ট্রেট ব্যাটে ছক্কা হাঁকানোর মতো বললেন, ‘‘ওহ লাভলি। পুরো হিট।’’
ইদানিং প্রতিটি কথাতেই ‘ওহ্ লাভলি’ শোনা যাচ্ছে তাঁর মুখে। সকালেই পুজো দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। এসেছিলেন বিধানসভায়। তবে সেই পোশাক পুরো কেন, অর্ধেকও রঙিন নয়। সিল্কের সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে গলার দিকে খালি সবুজ জরির কাজ। আর রঙিন সানগ্লাস। বিধানসভায় ওঁকে শুভেচ্ছা জানানোর ঢল। এটা কি টেনশন রিলিফের কৌশল? মদনের বক্তব্য, ‘‘শুভেচ্ছা জানালেন সবাই। আর আমার তো কোনও টেনশনই নেই। হিট। ওহ্ লাভলি।’’ বিধায়কদের ছবি দেখার আমন্ত্রণও জানিয়ে গেলেন। একটু পরেই সোজা ডানলপের সোনালি সিনেমা হলে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে আবারও প্রতিবাদী মঞ্চে যাব’, টেলি সম্মান পেয়েও সোজাসাপটা কৌশিক সেন]
‘‘মানুষের এই উন্মাদনা, উচ্ছ্বাস, সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি, শেষ কবে দেখেছি, মনে পড়ছে না।’’ –মদন যখন এই কথাগুলো বলছেন, তখন হাজারো জনতার মাঝে তিনি বন্দি। বললেন, ‘‘৩৫টা হলে রিলিজ করেছে। দারুণ অভিজ্ঞতা। প্রচুর মানুষ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বিভিন্ন হল থেকে যা খবর পাচ্ছি, হাউসফুল।’’ পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর ছবি ‘ওহ লাভলি’ ছবিতে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে কামারহাটির বিধায়ক। জানান, সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন, দেব, সোহম, কাঞ্চন মল্লিক, ইমন, মৌবনি, ভরত কল, আরও অনেকে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও ছিলেন।
কয়েক দিন ছবির প্রচারে সময় দিয়েছেন। এমন মানুষকে অভিনেতা হিসাবে পেলে প্রযোজক-পরিচালকের কাজটাও সহজ হয়ে যায়। ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর পরিচালক হরনাথ বলছেন, ‘‘মদন মিত্র একজন পাকা অভিনেতার মতোই অভিনয় করেছেন। কোনও সমস্যা তো হয়ইনি। উল্টে তাঁকে পেয়ে সবাই দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ করেছেন।’’ তিনিও তো কথায় কথায় ‘ওহ্ লাভলি’ বলা প্রায় অভ্য়াসে পরিণত করে ফেলেছেন। মদন সিনেমায় নায়িকার বাবা। যিনি রাজনীতি করেন। চরিত্রের নাম, সুবিমল রায়। হরনাথের কথায়, ‘‘মেয়ের বাবার চরিত্র যেমন হয়, মদন মিত্র তেমনই। ওহ্ লাভলি।’’ বাস্তবের সুবিমল রায় জানালেন, ‘‘কয়েক দিনে কলকাতা ও শহরতলিতে যে সমস্ত জায়গায় ছবি মুক্তি হয়েছে, সেই সব হলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। আমি গেলে সিনেমা হলগুলোতে বেশি ভিড় হবে। বাংলা সিনেমার ভালর জন্যই ‘ওহ লাভলি’ হিট হওয়া প্রয়োজন।’’