সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) ছবিটি নিয়ে বেশ কয়েকটি টুইট করেছিলেন তিনি। সেই অপরাধেই এবার শো কজের নোটিস পেতে চলেছেন মধ্যপ্রদেশের আইএএস (IAS) অফিসার নিয়াজ খান। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার নিয়াজ খানকে শো কজ করে নোটিস পাঠাবে।
নিয়াজ খান মধ্যপ্রদেশের পাবলিক ওয়ার্ক্স ডিপার্টমেন্টে ডেপুটি সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটির নির্মাতাদের কাছে টুইট করে তিনি অনুরোধ জানান, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের হত্যা করা নিয়েও তাঁদের একটি ছবি বানানো উচিত। টুইটে তিনি আরও লেখেন, “মুসলিমরা কোনও কীটপতঙ্গ নয়, তাঁরাও মানুষ এবং ভারতের নাগরিক।” এছাড়াও আরও কয়েকটি টুইট করেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি নিয়ে। টুইটারেই ছবিটির নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েও পড়েন নিয়াজ।
[আরও পড়ুন: ২০০ কোটির ক্লাবে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, জানেন কত পারিশ্রমিক নিয়েছেন অনুপম খের ও মিঠুন?]
এই প্রসঙ্গেই মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, “আমি নিয়াজের টুইটগুলো দেখেছি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” সরকারি আধিকারিকদের জন্য যে ‘লক্ষ্মণরেখা’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে নরোত্তম বলেন, “লক্ষ্মণরেখা লঙ্ঘন করেছেন ওই অফিসার। তাই ওঁর কাছে জবাব তলব করে শোকজের নোটিস পাঠাবে সরকার।” মধ্যপ্রদেশের মেডিক্যাল শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস কৈলাস সারাং জানিয়েছেন, নিয়াজ খানের বিরুদ্ধে তিনি পাবলিক ওয়ার্ক্স ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখবেন। আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা বলিউড। নামজাদা তারকারা এই ছবির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সম্প্রতি এই দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে এই ছবি দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন আমির খান।অন্যদিকে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকর। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তর দিতে গিয়ে অভিনেতা জানান, ”হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই ভারতেরই বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়েরই শান্তিতে থাকা উচিত। একে অন্যকে প্রয়োজন। পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারবেনও না। কোনও একটি ছবির জন্য বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ঠিক নয়। সকলেই যেন শান্তিতে থাকেন। এমন ছবির মাধ্যমে যাঁরা সেই চেষ্টা করছেন, তাঁদের কাছে জবাব চাওয়া উচিত। জানানো উচিত, এমনটা করলে সমাজ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।”