মলয় কুণ্ডু: দুর্যোগের জেরে মৃত গবাদি পশুর মাংস অসাধু উপায়ে বিক্রি বা বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পুলিশ এবং ভিজিল্যান্সকে এর জন্য নজরদারি ও প্রয়োজনে হানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে আবার মরা পশুগুলো রেখে সেগুলোকে হোটেলে হোটেল বিক্রি করে। আর সেই পচা জিনিস লোককে খাওয়ায়। কয়েকটা জায়গা আছে, বন্যায় যেগুলো মারা যায় সেখানে তারা রেখে দেয়। কয়েকটা স্পট আছে। একবার রেড করা হয়েছিল। ধরা পড়ে গিয়েছিল।”
পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, “সেটা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখুন। নাকা চেকিং এবং মরা পশু কোথাও রাখা হচ্ছে কি না বা বিক্রি করা হচ্ছে কি না, কোনও হোটেলে বা দোকানে সাপ্লাই করা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কেউ এমন করলে সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু অ্যাকশান নিতে হবে।” এমন পশু মিললে সেগুলো তুলে এনে দাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, প্রমোদনগরে পশুদের ক্রিমেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে এইকাজ হতে পারে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ৩ বছরের শিশুকে যৌননিগ্রহ! হাসপাতালে শুয়ে অভিযুক্তকে চিনিয়ে দিল খুদেই]
ঘূর্ণিঝড়ের আগেই উপকূলবর্তী ও নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রাণহানি ঠেকানোর গিয়েছে। বাঁচানোর গিয়েছে বহু গবাদিপশু। কিন্তু বেশ কিছু জায়গা বানভাসি হয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু মারা গিয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু পোল্ট্রিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থার সুযোগ নিতে পারে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। মৃত পশুর মাংস এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনওভাবেই বাজারজাত করতে না পারে, তার জন্য প্রশাসনকে কড়া নজরদারি ও প্রয়োজনে এই সমস্ত জায়গায় হানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে (Nabanna) ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি ও ত্রাণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এর আগেও এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ভিজিল্যান্স হানা দিয়েছে। এবারেও তাই প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে ফের এমন ঘটনা না ঘটে। যে সমস্ত জায়গায় গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে সেগুলিকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা এবং দাহ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।