অর্ণব দাস: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে ধরা পড়ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী। শাসকদলের অস্বস্তি স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের। পালটা বিরোধীদের বিঁধতে বাম আমলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করার চেষ্টায় ঘাসফুল শিবির। তারই মাঝে এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্লিনচিট দিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার খড়দহে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। পলিটেকনিক কলেজে অন্তত ২০০ জন অধ্যাপককে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলেই সুর চড়ান। বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হতে মাধ্যমিক থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যন্ত ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন। কিন্তু রজত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও স্তরে ওই নম্বর ছিল না। এরকম অনেক ঘটনা রয়েছে। কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়েছে। আমার কাছে সে সমস্ত তথ্য রয়েছে। এখন আমরা যদি বলি সিপিএমের আমলে কারা চাকরি পেয়েছিল, তাঁদের তাড়িয়ে দাও। সেটা হয় না।”
[আরও পড়ুন: পার্টি অফিসে ডেকে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নানুরে]
তৃণমূলের কিছু নেতা-মন্ত্রী যে সত্যিই দুর্নীতিতে জড়িত, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “সমাজের মধ্যে ভাল, খারাপ রয়েছে। সৎ, অসৎ দু’টোই রয়েছে। আমাদের দলেও কিছু খারাপ লোক আছে। সবাই ভাল লোক নন। একটা মন্দিরে পুরোহিত চোর হতে পারে। কিন্তু দেবতা চোর হতে পারে না। দলের মধ্যে আমি চোর হতে পারি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর হতে পারেন না।”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিয়োগ দুর্নীতিতে কিছুটা হলেও কোণঠাসা ঘাসফুল শিবির। তারই মাঝে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে মন্ত্রী এমন মন্তব্য করছেন বলেই দাবি বিরোধী বিজেপি শিবিরের।