সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) প্রকাশ করা খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে ফের বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুরিয়ে অভিযোগ করলেন, বহু এলাকায় ধর্ম দেখে ভোটারদের নাম বাদ পড়েছে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে। বুধবারই ২০২৩ সালের জন্য রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাতে দেখা যাচ্ছে একবছরে ভোটারের সংখ্যা বাড়ার বদলে ১২ হাজার ৫৭৭ জন কমে গিয়েছে। সেটা নিয়ে বুধবারই উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করতে শোনা গেল মমতাকে (Mamata Banerjee)।
বুধবারই মমতা বলে দিয়েছিলেন, “বিজেপি (BJP) অনেক জায়গায় ৩০ শতাংশ ভোটারের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। আপনাদের নিজেদের দেখতে হবে আপনার নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা। ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে না। রেশন কার্ড থেকে নাম কেটে দেবে। ভোটার তালিকা থেকেও নাম কেটে দেবে।” কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রী কোনও ধর্মের কথা উল্লেখ করেননি। বৃহস্পতিবার তিনি সরাসরি অভিযোগ করে দিলেন।
[আরও পড়ুন: রাজস্ব ঘাটতির গুঁতো, বাজেটের তুলনায় খরচে কাটছাঁট করছে কেন্দ্র, চাপ একাধিক ক্ষেত্রে]
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভোটকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলে দেন, “যারা ভোটার তালিকায় নাম তুলছেন, তারা নিয়ম মেনে তুলবেন। যাদের ১৮ বছর বয়স হয়েছে, বা হতে যাচ্ছে তাদের নাম যেন বাদ না যায়। সবার নামটা দয়া করে ভোটার তালিকায় তুলবেন। কারও নাম অন্য ধর্মের বলে বাদ দেবেন না।” মমতার অভিযোগ, “একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় কোনও কোনও জায়গায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে নয়, অন্য রাজ্যে। এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: তিনদিন বাদে হাজারের উপরে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ল মৃত্যুও]
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে গত সপ্তাহেই সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে সরব হয়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) একাধিকবার ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব হয়েছেন। কমিশন খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ভুতুড় বা মৃত ভোটার তত্ত্বে ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৩৪ জনের নাম বাদ গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেটার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।